বিশ্ব জুড়ে চড়া মূল্যবৃদ্ধির জেরে কমেছে চাহিদা। এর উপর রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ চলাকালীনই প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইজ়রায়েলের সংঘাতে অশান্ত হয়ে উঠেছে পশ্চিম এশিয়া। বাণিজ্যিক মহলের দাবি, রাশিয়া, ইউক্রেন, ইজ়রায়েল— তিন দেশই ভারতের বড় রফতানি বাজার। ফলে দীর্ঘ দিন ধরে কমতে থাকা বৈদেশিক বাণিজ্য আরও তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দানা বাঁধছে। এই পরিস্থিতিতে রফতানিকারী সংস্থাগুলির সংগঠন ফিয়ো পণ্যের বিক্রি বাড়াতে ১০টি দেশকে চিহ্নিত করেছে। সে জন্য চালানো সমীক্ষার রিপোর্টে সংগঠনটির সওয়াল, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার আগে সরকার যেন ওই সব দেশের বাজারে ভারতীয় পণ্যের বিপণন বাড়াতে আগ্রাসী পদক্ষেপ করে।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, রফতানি বাড়ানো না গেলে অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানো মুশকিল। তাই ফিয়ো-র সমীক্ষায় আগ্রাসী ভাবে ঝাঁপাতে বলা হয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, বাংলাদেশ, জার্মানি, চিন, ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, হংকঙে। সংগঠনের পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান যোগেশ গুপ্ত বলেন, “রফতানি বাণিজ্যকে চাঙ্গা করতে অবিলম্বে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে পদক্ষেপ করা জরুরি। এ জন্য বিশেষ বিপণন পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।’’ সমীক্ষা বলছে, ওই ১০টি দেশে ভারতীয় পণ্যের প্রদর্শনী, ক্রেতা-বিক্রেতার বৈঠক এবং পথ-প্রচার মারফত রফতানিকারীদের পাশে দাঁড়াতে সরকারি উদ্যোগে জোর দিতে হবে। কেন্দ্র যেন সেখানে ভারতীয় কূটনৈতিক দফতরের সাহায্য পাওয়ার ব্যবস্থা করে। শুল্ক-সমস্যার সমাধানে যাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বহু ক্ষেত্রেই এ দেশের পণ্যের চাহিদা বিপুল, কিন্তু রফতানির পথে বড় বাধা চড়া শুল্ক। এর হাত ধরে রফতানি বাড়ার সম্ভাবনা হিরে, গয়না, গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ, বৈদ্যুতিন সামগ্রী, জামাকাপড়, সামুদ্রিক খাদ্য, চা, কফি ইত্যাদির।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)