E-Paper

এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধি ৭.৮%! মার্কিন শুল্কের চাপে জুলাই-সেপ্টেম্বর কত হবে, নজর সে দিকে

সংশ্লিষ্ট মহল মনে করাচ্ছে, আমেরিকায় রফতানি ধাক্কা খাওয়ার পরে পণ্য অন্য দেশে বিক্রি করা না গেলে, দেশীয় উৎপাদনে ধাক্কা লাগবেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৫ ০৮:০১
উদ্বেগ কমাচ্ছে না।

উদ্বেগ কমাচ্ছে না। —প্রতীকী চিত্র।

তখনও আমেরিকার শুল্ক চাপেনি ভারতের ঘাড়ে। ফলে গত এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ৭.৮% জিডিপি বৃদ্ধির পরিসংখ্যান কিছুটা স্বস্তি দিলেও, নিশ্চিন্তি ফেরাল না। বরং ফের ভেসে উঠল ৫০% শুল্ক বসে যাওয়ার পরে জুলাই-সেপ্টেম্বর বৃদ্ধির হার ঠিক কতটা নামতে পারে, তাই নিয়ে জল্পনা। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করাচ্ছে, আমেরিকায় রফতানি ধাক্কা খাওয়ার পরে পণ্য অন্য দেশে বিক্রি করা না গেলে, দেশীয় উৎপাদনে ধাক্কা লাগবেই। তার উপর ডলারের নিরিখে টাকা পড়ছে। ফলে উদ্বেগ কমাচ্ছে না।

কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরনের বক্তব্য, শহরাঞ্চলে চাহিদা কমার দাবি যে ভুল, তা শুক্রবার প্রকাশিত বৃদ্ধির হারে প্রমাণ হল। এর কারণ মূলত ভাল বর্ষার হাত ধরে মাথা তোলা কৃষি উৎপাদনও। যা গ্রামে আয় বাড়িয়েছে। এ ছাড়া শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিষেবা ক্ষেত্রেরও প্রসার ঘটেছে।

সরকারি মহলের দাবি, দ্রুততম আর্থিক বৃদ্ধির অর্থনীতি হওয়ার শিরোপা ধরে রাখল ভারত। কারণ এপ্রিল-জুনে চিনের বৃদ্ধির হার ৫.২%। তবে মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার মু্খ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের মতে, সরকারি লগ্নি কমা এবং আমেরিকার শুল্ক বৃদ্ধি আগামী দিনে পথের কাঁটা হতে পারে। জিএসটির হার কমিয়েও তা সামলানো যাবে কি না সংশয় রয়েছে। নাগেশ্বরনের আশা, অনিশ্চয়তা কিছু সময় ধরে চললেও, সমাধান নিশ্চয়ই বেরোবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

US Tariff Economy

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy