বিদেশি মুদ্রা পরিচালনা আইন (ফেমা) ভাঙার অভিযোগে শিক্ষা-প্রযুক্তি সংস্থা বাইজুস-কে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বাইজুসের মূল সংস্থা থিঙ্ক অ্যান্ড লার্ন এবং প্রতিষ্ঠাতা বাইজু রবিন্দ্রনের বিরুদ্ধে আমদানি সংক্রান্ত তথ্য না দেওয়া, রফতানি থেকে আয় না দেখানো এবং প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি সংক্রান্ত নথি দেরি করে জমার অভিযোগ করেছে তদন্তকারী সংস্থাটি। তাদের দাবি, এর ফলে সরকারের ৯৩০০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই অর্থের তিনগুণ জরিমানা চাপানোর ক্ষমতা আছে ইডি-র হাতে।
অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির পড়ুয়াদের লেখাপড়ায় সাহায্যে করে বাইজুস। তাদের তৈরি করে পরীক্ষার জন্য। এপ্রিল ভারতে তাদের বিরুদ্ধে প্রথম ফেমা ভাঙার অভিযোগে তদন্ত শুরু করে ইডি। ২০১১-২০২৩ পর্যন্ত ২৮,০০০ কোটি টাকা প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি আসা, বিজ্ঞাপন ও বিপণনে ৯৪৪ কোটি খরচ এবং বিভিন্ন দেশে ৯৭৫৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। তার উপরে আবার বিদেশে ঋণ শোধে ব্যর্থ হওয়ার কারণে শাখা সংস্থা হাতছাড়া হওয়া আটকাতে আইনি পথে হেঁটেছে বাইজুস। লগ্নিকারীরা সংস্থার শেয়ারমূল্য কমানোয় এবং অডিটর ও পর্ষদের সদস্যেরা পদত্যাগ করায় সমস্যা আরও বেড়েছে।
এই পরিস্থিতিতেই থিঙ্ক অ্যান্ড লার্ন এবং রবিন্দ্রনকে মঙ্গলবার নোটিস পাঠাল ইডি। সেখানে তারা প্রশ্ন তুলেছে সময়ে আর্থিক ফলাফল প্রকাশ না করা নিয়েও। এর আগেই অবশ্য রবিন্দ্রন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আজও বাইজুস একটি আইন সংস্থার রিপোর্ট তুলে ধরে শেয়ারহোল্ডারদের ই-মেল পাঠিয়ে দাবি করেছে তারা ফেমার নিয়ম ভাঙার কোনও প্রমাণ পায়নি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)