জানুয়ারিতে দিল্লির বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে মোদী সরকার অষ্টম বেতন কমিশনের ঘোষণা করেছিল। কিন্তু তার পরে ছয় মাস কাটলেও সরকারি নির্দেশিকা জারি হয়নি। কমিশন কী বিষয় দেখবে বা তার ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ কী হবে, জানানো হয়নি। দেরি দেখে ক্যাবিনেট সচিবকে চিঠি লিখে বেতন কমিশনের ঘোষণার ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা।
কেন্দ্র ও কর্মীদের আলোচনার জন্য তৈরি যৌথ ব্যবস্থায় কর্মীদের জাতীয় পরিষদের সম্পাদক শিবগোপাল মিশ্র সচিবকে চিঠিতে বলেছেন, কর্মীরা মত জানানোর পরেও কেন্দ্র স্পষ্ট ঘোষণা করেনি। ফলে তাঁদের মধ্যে সংশয় তৈরি হচ্ছে যে বেতন কমিশনের ঘোষণা কতটা বিশ্বাসযোগ্য। অনেকে ভয় পাচ্ছেন এটি কি আদৌ প্রশাসনিক পদক্ষেপ, নাকি অন্য কিছু!
সপ্তম বেতন কমিশন চালু হয় ২০১৬-র ১ জানুয়ারি। মেয়াদ শেষ ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর। অষ্টম কমিশন কার্যকর হবে ২০২৬-এর ১ জানুয়ারি। গত ১৬ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে কমিশনের ঘোষণার পরেই বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিল, ভোটের আগে দিল্লিতে থাকাবিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরমন জিততেই এই সিদ্ধান্ত। চিঠিতে কর্মীদের দাবি, অর্থ বিলে বলা হয়েছে,পেনশনভোগীরা অষ্টম কমিশনের সুবিধা পাবেন কি না, তা স্থির করবে কেন্দ্র। এতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি স্পষ্ট করুক কেন্দ্র। দ্রুত কমিশন তৈরি হোক। কাজের শর্ত জানিয়ে জারি হোক বিজ্ঞপ্তি। সামরিক বাহিনী-সহ কেন্দ্রের প্রায় ৫০ লক্ষ কর্মী ও ৬৫ লক্ষ পেনশনভোগী আছেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)