জানুয়ারিতে কার্যত অপ্রত্যাশিত ভাবেই দেশের খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ফের লাফিয়ে ৬.৫২% শতাংশ ছুঁয়েছে। প্রতীকী ছবি।
আমেরিকা এবং ইউরোপের দিক থেকে বিপদসঙ্কেত রয়েছে। তা সত্ত্বেও আগামী অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনীতি বৃদ্ধির উঁচু হার ধরে রাখতে পারবে বলে মন্তব্য করলেন নীতি আয়োগের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তথা অর্থনীতিবিদ রাজীব কুমার। তাঁর বক্তব্য, গত আট বছরে মোদী সরকার যে একের পর এক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ করেছে, সেটাই বৃদ্ধির হার ধরে রাখতে সাহায্য করবে। রাজীবের পূর্বাভাস, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬%। সংশ্লিষ্ট মহলের অবশ্য বক্তব্য, যে উজ্জ্বল দিকগুলির কথা প্রবীণ অর্থনীতিবিদ উল্লেখ করেছেন, সেই নিরিখে এই হার খুব উঁচু নয়। কারণ, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস, আগামী অর্থবর্ষে তা হতে পারে ৬.৪%। কেন্দ্রের আর্থিক সমীক্ষায় ৬.৫% বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে।
এ দিকে, বিহারের অর্থমন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধরি তাঁর রাজ্যের জন্য বিশেষ মর্যাদার দাবি করে জানিয়েছেন, দরিদ্র রাজ্যগুলি আলাদা সাহায্য না পেলে আঞ্চলিক বৈষম্য বাড়তে পারে।
রবিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজীব বলেন, ‘‘গত আট বছরের সংস্কারের ফলে ভারতের উঁচু বৃদ্ধির হার ধরে রাখার ভাল সুযোগ রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তা ৬% হতে পারে।’’ তিনি অবশ্য জানিয়েছেন, আমেরিকা এবং ইউরোপের অর্থনীতি একই সঙ্গে শ্লথ হচ্ছে। তার বিরূপ প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে পড়বে। ভারতও তা এড়িয়ে থাকতে পারবে না। তবে তাঁর মতে, ‘‘সুচারু নীতির মাধ্যমে সেই সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। যাতে রফতানিতে অগ্রগতি অক্ষুণ্ণ রাখা যায়। একই সঙ্গে দেশি ও বিদেশি বেসরকারি পুঁজির বিনিয়োগে উন্নতি করতে হবে।’’ মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গে তাঁর আশা, শীতের শস্য খাদ্যপণ্যের দামকে নিচুতে বেঁধে রাখতে সাহায্য করবে। যদিও ওয়াকিবহাল মহল মনে করাচ্ছে, জানুয়ারিতে কার্যত অপ্রত্যাশিত ভাবেই দেশের খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ফের লাফিয়ে ৬.৫২% শতাংশ ছুঁয়েছে। যা শীর্ষ ব্যাঙ্ককে নতুন করে হিসাব কষতে বাধ্য করতে পারে।
সম্প্রতি নীতি আয়োগের বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, কোনও রাজ্যকে বিশেষ সুবিধা না দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেছে অর্থ কমিশন। বিহারের অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘নীতি আয়োগ দরিদ্র রাজ্যগুলির জন্য বিশেষ সাহায্যের কথা বলেছে। কিন্তু কেন্দ্রের মনোভাব অন্য হলে আঞ্চলিক বৈষম্য বাড়বে।’’ তাঁর দাবি, বাকিদের রাজ্যগুলিকে ছুঁতে গেলে আরও কয়েক বছর সাহায্য দরকার বিহারের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy