চড়া মূল্যবৃদ্ধি এবং গৃহস্থের হাতে টাকার অভাব বহু দিন ধরেই দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বাজারে বিক্রি শ্লথ করছে। মোদী সরকার জিএসটি-র হার কমানোয় তাই কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছে ওই বাজারে।
দৈনন্দিন ভোগ্যপণ্য ও খাদ্যপণ্যের জিএসটি ৫ শতাংশে নামাকে কার্যত ‘গেম চেঞ্জার’ আখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। ম্যারিকোর এমডি-সিইও সৌগত গুপ্তের মতে, স্বল্পমেয়াদি ভোগ্যপণ্যের বাজার সম্পূর্ণ বদলে যেতে পারে। হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের সিইও-এমডি প্রিয়া নায়ার বলেন, ‘‘সাধারণ ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে।’’
গোদরেজ কনজিওমার্স প্রোডাক্টসের সিএফও আসিফ মালবারির দাবি, কর কমার সুবিধা দ্রুত গ্রাহকের কাছে দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। ব্যক্তিগত পণ্য প্রস্তুতকারী সংস্থা জয় পার্সোনাল কেয়ারের চেয়ারম্যান সুনীল আগরওয়াল জানান, গ্রামীণ এলাকার পরে শহরেও চাহিদা বাড়বে। মাদার ডেয়ারির এমডি মণীশ বান্দলিশ বলেন, ‘‘দুগ্ধজাত পণ্য এবং রুটির জিএসটি ৫% এবং শূন্য করে দেওয়ায় এগুলি আরও সুলভ হবে।’’ জুতো ও জামাকাপড়ের কর ৫% করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বাটা ইন্ডিয়ার এমডি গুঞ্জন শাহ। অল ইন্ডিয়া কনজিওমার্স প্রোডাক্টস ডিস্ট্রিবিউটার্স ফেডারেশনের মতে, এই সিদ্ধান্ত গ্রামীণ চাহিদা ১০% ও শহরাঞ্চলের চাহিদা ৮% পর্যন্ত বাড়াতে পারে। সোদপুরের ছোট ব্যবসায়ী প্রসেনজিৎ মজুমদারের কথায়, ‘‘ক্রেতার সুবিধা হলে আমাদের সংসার চালানোও কিছুটা সহজ হবে।’’
বৈদ্যুতিন পণ্যের কর ১০% কমাকে স্বাগত জানিয়েছেন ভোল্টাজ়ের এমডি মুকুন্দন মেনন, গোদরেজ এন্টারপ্রাইজ়-এর গ্রুপ হেড কমল নন্দী এবং ডাইকিন ইন্ডিয়ার এমডি কনওয়ালজিৎ জাওয়া।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)