প্রতীকী ছবি।
মোদী সরকার ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্পের (এমএসএমই) জন্য বিপুল ত্রাণ প্রকল্প আনার বড়াই করলেও, শিল্প সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্টই বলেছে তা প্রয়োজনের চেয়ে কম। এ বার করোনায় ধাক্কা খাওয়া এমএসএমই-র সাহায্যে আরও পথ হাঁটতে হবে বলে ইঙ্গিত মিলল নীতি আয়োগের কর্তা এবং অর্থনীতিবিদদের একাংশের বক্তব্যেও। কেন্দ্র বহু ব্যবস্থা নিয়েছে দাবি করেও নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার মানছেন, এখনও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সমাধান হয়নি। আর এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কের প্রবীণ অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ সেনগুপ্তের পরামর্শ, ছোট শিল্পকে আরও বেশি ঋণ দিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে নির্দেশ দিক কেন্দ্র।
এমএসএমই-র অভিযোগ, আগে থেকেই নগদ ও কার্যকরী মূলধনের অভাবে ভুগছে তারা। তার উপরে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিভিন্ন রাজ্যে বিধিনিষেধের জেরে ব্যবসা তলানিতে। ফলে বহু সংস্থার ঝাঁপ বন্ধ হয়েছে। বাকিরা চলছে খুঁড়িয়ে। সরাসরি আর্থিক সুবিধার বদলে মিলেছে মূলত ঋণ ভিত্তিক ত্রাণ। তা পেতেও ভুগতে হয় বড় অংশকে। যদিও কুমার, অভিজিৎবাবু ও সিডবির একটি সমীক্ষার দাবি, সরকারি গ্যারান্টি যুক্ত ঋণ প্রকল্পে (ইসিএলজিএস) ধারের অঙ্ক বেড়েছে। কিন্তু সেই সঙ্গে গত অক্টোবর-ডিসেম্বরের চেয়ে জানুয়ারি-মার্চে ছোট শিল্পের অনুৎপাদক সম্পদ ১২% থেকে বেড়ে হয়েছে ১২.৬%।
কুমারও সম্প্রতি বলেছেন, এমএসএমই-র আয় ৫০% কমেছে। প্রতি তিনটি সংস্থার মধ্যে একটির আয় ও মুনাফা অতিমারিতে ধাক্কা খেয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘নীতি তৈরির ক্ষেত্রে ছোট শিল্পের উপরেই সব চেয়ে বেশি নজর দেওয়া উচিত। তাদের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের এখনও সমাধান হয়নি।’’ তবে তাঁর আশ্বাস, কেন্দ্র ও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক এই শিল্পকে সাহায্য করতে নানা পদক্ষেপ করেছে। আরও যা যা জরুরি, নিয়মিত ভাবে করা হবে। আর অভিজিৎবাবু বলছেন, ব্যাঙ্ক ও এনবিএফসিগুলি যাতে ঝুঁকি এড়ানোর প্রবণতা কাটিয়ে ছোট শিল্পকে ঋণ দেয়, সে জন্য বোঝাতে হবে সরকারকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy