আমেরিকার চড়া শুল্কের চাপে ভারতীয় রফতানি সংস্থাগুলি এমনিতেই সমস্যায়। তার উপরে নেপালে গণঅভ্যুত্থানের ফলে সেখানেও পণ্যসরবরাহ আপাতত স্তব্ধ। এ দেশের রফতানি সংস্থাগুলির সংগঠন ফিয়ো-র বক্তব্য, নেপালের সঙ্গে পণ্য সরবরাহের সমস্যা এখনও বড় আকার ধারণ করেনি। কিন্তু পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক না হলে এ ক্ষেত্রেও ভারতের রফতানি শিল্প ধাক্কা খেতে পারে। বিশেষত সীমান্তে আটকে থাকা পচনশীল সামগ্রী নিয়ে চিন্তা বাড়ছে।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে নেপালে ৬৯৫ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছিল ভারত। ফিয়ো-র ডিজি অজয় সহায় জানান, সেখানে রফতানিকৃত মোট পণ্যের এক-তৃতীয়ংশই ডিজ়েল-সহ পেট্রোপণ্য। এ ছাড়া রয়েছে ভোজ্য তেল, চাল, ওষুধ, শাড়ি, পোশাক তৈরির কাপড়, কৃষিজ পণ্য, তৈরি খাবার এবং ভোগ্যপণ্য। ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, গাড়ি, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং বৈদ্যুতিন পণ্যও রফতানি করে ভারত। সহায় বলেন, ‘‘নেপালে বহু অত্যাবশ্যক পণ্যই ভারত থেকে যায়। ডিজ়েল-সহ পেট্রোপণ্যের সরবরাহের জন্য নেপাল পুরোপুরি ভারতের উপর নির্ভরশীল। সেখানে আমদানি বেশি দিন বন্ধ থাকলে দেশে অসন্তোষ বাড়তে পারে। বিশ্বাস, নেপাল নিজে থেকেই ভারতীয় পণ্যের আমদানি ব্যবস্থা মসৃণ করতে উদ্যোগী হবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে তেমন চিন্তা নেই। কিন্তু ভারত থেকে প্রতিদিনই আনাজ, ফল ইত্যাদি যায়। সীমান্তে ওই সব পণ্যের প্রচুর ট্রাক আটকে। রাস্তা না খুললেরফতানিকারীদের লোকসান হবে।’’
ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের প্রাক্তন সভাপতি রাকেশশাহ জানান, সীমান্তে ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য পাঠানো বন্ধ। ফিয়ো-র পূর্বাঞ্চলের কর্তা যোগেশ গুপ্ত বলেন, ‘‘সমস্যা সাময়িক বলেই মনে হয়। দীর্ঘমেয়াদি হলে বাণিজ্যের ক্ষতি হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)