চাষিদের ঘাম ঝরিয়ে ফলানো ফসল নষ্ট হওয়া আটকাতে ছোট খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র গড়ায় ভর্তুকি জোগাবে কেন্দ্র। ওই সুবিধা দেবে হিমঘর তৈরির জন্যও। শনিবার বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। খুব তাড়াতাড়ি কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে নির্দেশিকা প্রকাশ করবে বলেও দাবি করেন তিনি।
এ দিন জ্যোতি বলেন, ‘‘যদি হিমঘরের সঙ্গে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রও যোগ করা হয়, তবে ৫০% ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রক। আবার যদি শুধু হিমঘর গড়ে, সেখান থেকে ঠাণ্ডা গাড়িতে (কোল্ড চেন ভেহিক্ল) পণ্য খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়, সে ক্ষেত্রে ভর্তুকি জোগানো হবে ৩৫ শতাংশ।’’ তাঁর দাবি, এতে ছোট খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র তৈরির জন্য উৎসাহ বাড়বে।
জ্যোতি জানান, ২০০টি ছোট খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র গড়ার জন্য প্রস্তাবে ইতিমধ্যেই সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ ধরনের এক-একটি কেন্দ্রে লগ্নি প্রয়োজন ১৫-২০ কোটি টাকা। অল্প জমি লাগায় তা-ও এ ক্ষেত্রে বাধা হবে না বলে তাঁর দাবি।
কৃষিপণ্য সংরক্ষণ এবং তা প্রক্রিয়াকরণের পরিকাঠামো যে এ দেশে চাহিদার তুলনায় নিতান্ত কম, সে কথা বারবার বলেছে শিল্পমহল। অর্থনীতির বহু সমীক্ষাও দেখিয়েছে যে, এক দিকে যখন দেশের বহু মানুষ দু’বেলা পেট পুরে খেতে পাচ্ছেন না, তখন পর্যাপ্ত সংখ্যক হিমঘরের অভাবে নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণ ফসল। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় কম হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে মার খাচ্ছে বাজারে আসা খাদ্যপণ্যের গুণমান। মন্ত্রীর মতে, কেন্দ্রের ভর্তুকি ও সহায়তায় ওই দুই পরিকাঠামো বাড়লে ফসল নষ্ট হওয়া কমবে। ভাল হবে খাদ্যপণ্যের গুণমানও।
শুধু তা-ই নয়। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় কৃষিপণ্য দ্রুত নিয়ে যেতে সুপার ফাস্ট ট্রেনের সঙ্গে ঠাণ্ডা কামরা (কোল্ড চেন বগি) জুড়ে দেওয়ার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। এ নিয়ে রেল মন্ত্রকের সঙ্গে তাঁদের কথাও হয়েছে বলে নিরঞ্জন জ্যোতির দাবি।
উল্লেখ্য, কৃষি মন্ত্রক থেকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণকে আলাদা করে দিয়েছে মোদী সরকার। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ পরিকাঠামোর আমূল সংস্কারের পথ প্রশস্ত করতেই সেই পথে হাঁটা হয়েছে বলে দাবি মন্ত্রীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy