বিজয় মাল্যর মতো ঋণখেলাপীদের ক্ষেত্রে এ বার আরও কড়া হল কেন্দ্র। শুক্রবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের নির্দেশ, যে সব সংস্থা ধার শোধ করছে না, সেগুলির প্রোমোটার-ডিরেক্টররা ঋণ নেওয়ার সময় যাঁদের ব্যক্তিগত গ্যারেন্টর করেছিলেন, এ বার তাঁদের সম্পত্তি বেচে দ্রুত তা আদায় করতে হবে।
অন্য দিকে, বন্ধ হয়ে যাওয়া বিমান সংস্থা কিংগ্ফিশার এয়ারলাইন্স কর্তা মাল্যকে এ দিনই নতুন করে সমন পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেখানে আগামী ২ এপ্রিল তাঁকে ইডি-র তদন্তকারী অফিসারদের সামনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। আইডিবিআই থেকে ধার করা ৯০০ কোটি টাকা বেআইনি ভাবে সরানোর অভিযোগে কালো টাকা প্রতিরোধ আইনে এই মামলা চলছে। এর আগের সমন অনুযায়ী, মাল্যের হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল আজ, শুক্রবার। বৃহস্পতিবার ইউনাইটেড ব্রিউয়ারিজ কর্তা এর জন্য আরও সময় চেয়ে তারিখ পেছানোর আবেদন জানান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই আর্জি মেনেই নতুন দিন ধার্য করে সমন পাঠাল ইডি।
বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ৯,০০০ কোটি টাকার ঋণ বাকি ফেলে এ মাসের প্রথমেই লন্ডনে পাড়ি দিয়েছেন মাল্য। সরকারের মদতেই তিনি পালিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন— বিরোধীদের এই অভিযোগে ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়েছে সংসদ। ঋণ শোধ না-করে পার পাওয়া আটকাতে আরও কড়া হওয়ার বার্তা আসছে সব মহল থেকে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপীদের প্রসঙ্গে শিল্পপতি রাহুল বজাজের মন্তব্য, ‘‘চোরদের ধরলে দেশের কোনও ক্ষতি হবে না। ইচ্ছাকৃত ভাবে যেখানে ঋণ শোধ দেওয়া হয়নি, যেখানে ধারের টাকা অন্য খাতে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেখানে ব্যবস্থা নেওয়াই উচিত।’’
এ দিন অর্থ মন্ত্রকের নির্দেশ অবশ্য ঋণ আদায়ে আরও কড়া হওয়ারই বার্তা দিয়েছে দেশকে। তারা বলেছে, ‘‘যখন ওই সব শোধ না-হওয়া ঋণ আদায়ের কোনও সম্ভাবনা থাকবে না, তখন ব্যাঙ্ক থেকে সেই ঋণ পাওয়ার সময় যাঁরা গ্যারান্টর হয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy