E-Paper

লোহিত সাগরের জের উৎপাদনেও

বাব-এল-মান্ডেব প্রণালী দিয়ে লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে ভারত মহাসাগরের মধ্যে পণ্য পরিবহণ হয়। বিশেষত যায়-আসে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস, অশোধিত তেল।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৪৮
An image of Trade

—প্রতীকী চিত্র।

লোহিত সাগরে অস্থিরতা বেশি দিন ধরে চললে তা দেশের বেশ কিছু শিল্পকে সমস্যায় ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করল বাণিজ্য উপদেষ্টা জিটিআরআই। এগুলির মধ্যে রয়েছে বস্ত্র, গাড়ি, রাসায়নিক, ভোগ্যপণ্য, প্লাস্টিক, বৈদ্যুতিন ইত্যাদি। উপদেষ্টার মতে, এই সমস্ত শিল্পে বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় সংস্থাগুলি কম সময়ের জন্য কাঁচামাল বা পণ্য মজুত রাখে। ফলে কোনও কারণে আমদানিতে দেরি হলে উৎপাদনে ধাক্কার আশঙ্কা থেকে যায়।

বাব-এল-মান্ডেব প্রণালী দিয়ে লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে ভারত মহাসাগরের মধ্যে পণ্য পরিবহণ হয়। বিশেষত যায়-আসে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস, অশোধিত তেল। রফতানি হয় ৬০% পণ্য ও আমদানি হয় ৫০%। এই পথে ইয়ামেন ভিত্তিক হুথি জঙ্গি গোষ্ঠীর আক্রমণের জেরে পণ্য পরিবহণের খরচ ৬০% এবং তার বিমার প্রিমিয়াম ২০% পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল জিটিআরআই। বলেছিল, উত্তমাশা অন্তরীপ দিয়ে পণ্য সরবরাহে লাগতে পারে ২০ দিন বেশি সময়।

এ বার উপদেষ্টাটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তবের মতে, সমস্যা বেশি দিন ধরে চললে ইউরোপ এবং এশিয়া দুই মহাদেশের সংস্থাগুলির ক্ষেত্রেই উৎপাদনে ধাক্কা লাগতে পারে। ইতিমধ্যেই কন্টেনারের খরচ দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। বাসমতি চালের মতো পণ্যের ক্ষেত্রে ব্যয় বেড়েছে ২৩৩%। সমস্যা দেখা যাচ্ছে জীবনদায়ী ওষুধ, বস্ত্র, ডিজ়েল, বিমান জ্বালানি, ইস্পাতের মতো ক্ষেত্রেও।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Red Sea Trade Deal Indian Economy

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy