আয় বাড়াতে তামার পাশাপাশি সোনা ও রুপো উৎপাদনের পরিকল্পনা হাতে নিল হিন্দুস্তান কপার। পাশাপাশি, তামার উৎপাদন বাড়াতে মাটির নীচে খননেরও (আন্ডারগ্রাউন্ড মাইনিং) পরিকল্পনা করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি।
সংস্থার সিএমডি সন্তোষ শর্মা জানান, তামা উৎপাদনের জন্য খনি থেকে যে পাথর তোলা হয়, তার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সোনা-রুপো। পাথর থেকে সেই ধাতুগুলি আলাদা করার প্রযুক্তি এত দিন হিন্দুস্তান কপারের কাছে ছিল না। এ বার তা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির হাতে। তাকে কাজে লাগিয়েই সোনা ও রুপো উৎপাদন করতে চায় তারা। ২০২৪ সালের মধ্যে সংস্থার মোট আয়ের ৪০ শতাংশই নতুন ওই সূত্র থেকে আদায়ের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। কোনও সময়ে তামার দাম কমে গেলে ঘাটতি পূরণ করতে বাড়তি ওই আয় কাজে লাগানো হবে, জানিয়েছেন সিএমডি।
এই প্রকল্পের জন্য মধ্যপ্রদেশের মালাঞ্জখণ্ডে নিজেদের তামা খনি এলাকাতেই নতুন একটি কারখানা গড়েছে হিন্দুস্তান কপার। এ জন্য ২০০ কোটি টাকারও বেশি লগ্নি হচ্ছে বলে জানান শর্মা। মাস তিনেকের মধ্যে সেখানে উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা। সিএমডির দাবি, নতুন কারখানাটি থেকে দিনে ৯০০ গ্রাম সোনা এবং ১০ কিলোগ্রামের মতো রুপো উৎপাদন হতে পারে। বছরে বাড়তি আয় হতে পারে ৬০ কোটি টাকা। শর্মা জানান, সোনা উৎপাদনের পরে অবশিষ্ট পাথর থেকে এক ধরনের লোহাও উৎপাদন করা সম্ভব। যা ইস্পাত তৈরির কাজে লাগতে পারে। বাকি পাথর রেল লাইন পাতার জন্য ব্যবহারের ব্যাপারে ভারতীয় রেলের সঙ্গে কথা হয়েছে সংস্থা কর্তৃপক্ষের।
তামার উৎপাদন বাড়াতে আন্ডারগ্রাউন্ড মাইনিংও শুরু করছে হিন্দুস্তান কপার। লগ্নি করছে ১,১৭৮ কোটি। শর্মা জানান, খনি থেকে তামার আকর উত্তোলনের কাজ চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হবে।