প্রতীকী ছবি।
নোট বাতিল ও জিএসটি-র ধাক্কায় এখনও কোনঠাসা আবাসন শিল্প। বিশেষ করে কলকাতা ও দিল্লিতে মার খাচ্ছে বিক্রি। লাফিয়ে বাড়ছে অবিক্রীত ফ্ল্যাটের সংখ্যা। এই খাতে আটকে থাকা পুঁজি ঘরে তুলতে বিপণন কৌশলই হাতিয়ার আবাসন শিল্পের।
বিশেষজ্ঞ সংস্থা নাইট ফ্র্যাঙ্কের সমীক্ষা বলছে ছ’ মাসে দেশের আটটি শহরেই ফ্ল্যাট বিক্রি মার খেয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি মার খেয়েছে দিল্লি ও কলকাতা। দিল্লিতে বিক্রি কমেছে ২৬%। কলকাতায় ২২%। তার জেরে তৈরির পরে বিক্রি না-হওয়া ফ্ল্যাটের সংখ্যাও লাফিয়ে বেড়েছে দুই শহরে। কলকাতায় এখন পড়ে থাকা ফ্ল্যাটের সংখ্যা ৩৯,১১৪। শিল্পমহলের হিসেবে তা বিক্রি হতে লাগবে আড়াই বছর। দিল্লির অবস্থা আরও খারাপ। যা ফ্ল্যাট পড়ে রয়েছে, তা বিক্রি করতে লাগবে সাড়ে চার বছর।
আর এই বেহাল পরিস্থিতি সামাল দিতে ও ক্রেতা টানতে ছোট-বড় নির্মাণ সংস্থা বিপণন ও ছাড়কেই ঢাল হিসেবে বেছে নিয়েছে। নাইট ফ্র্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদ স্যমন্তক দাসের মতে, এ ধরনের ছাড় নতুন ক্রেতা বেশি তৈরি করে না। কিন্তু ক্রেতাদের কেনার সিদ্ধান্তকে এগিয়ে আনে। ছাড়ের নানা উপলক্ষও খুঁজে নিচ্ছে আবাসন শিল্প। দুর্গাপুজো, দীপাবলি, পয়লা বৈশাখের সঙ্গে সেখানে গত দু’বছর ধরেই ঠাঁই করে নিচ্ছে স্বাধীনতা দিবসও।
ছাড়ের হাতিয়ারে শান দিতে কোনও সংস্থা সুযোগ দিচ্ছে যৎসামান্য অগ্রিমে ফ্ল্যাট বুকিংয়ের, কেউ বা দিচ্ছে ক্যাশ ব্যাক বা গৃহস্থালির সরঞ্জাম উপহারের হাতছানি। তালিকায় প্রথম দিকেই রয়েছে সিদ্ধা গোষ্ঠী ও এন কে রিয়্যালটর্স। এন কে রিয়্যালটর্সের মুখপাত্র বিপ্লব কুমার জানান, বিক্রির হার কমার সঙ্গে কমছে সরবরাহও। চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসে নতুন প্রকল্প ঘোষণার হার ৪১% কমেছে। বাজার চাঙ্গা করতে ছাড় দিয়েই তৈরি ফ্ল্যাট বিক্রি সম্ভব বলে তাঁর মত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy