সাধারণ, পেশাদারি কিংবা কারিগরি শিক্ষা। লক্ষ্য একটাই। যোগ্যতা অনুযায়ী হাতে কাজ। রোজগার। তা সে চাকরি বা ব্যবসার মাধ্যমেই হোক, বা হোক স্বনির্ভরতা। অনেকের আবার আর্থিক কিংবা পারিবারিক সমস্যায় প্রথাগত সেই শিক্ষাটুকু পাওয়া হয়ে ওঠে না। রোজগারের জন্য তাঁদেরও বেছে নিতে হয় স্বনির্ভরতা প্রকল্প অথবা অসংগঠিত ক্ষেত্রকে।
আসলে আমাদের দেশে চাকরি প্রার্থী এবং চাকরির সংখ্যার ফারাক বিরাট। যে কারণে দেশের বড় অংশের মানুষকেই হাঁটতে হয় স্বনির্ভরতার পথে। পা রাখতে হয় অসংগঠিত ক্ষেত্রে। অনেকে আবার নিজেদের ইচ্ছেতেও বেছে নেন এই ধরনের পেশা। দাঁড়াতে চান নিজের পায়ে। এই বিপুল অংশের মানুষের সবাই যে ভাল উপার্জন করেন এমন তো নয়! বরং উল্টোটাই বেশি। ট্যাক্সি, অটো, রিকশ চালক, ছোট দোকানদার, দোকানের কর্মচারী, হকার, ফুটপাথে খাবার বা বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রেতা, মিস্ত্রি, নির্মাণ শ্রমিক, বাজারের আনাজ-ফল-মাছ বিক্রেতা। ভারতে এই সমস্ত পেশার মানুষের সংখ্যা অনেক দেশের জনসংখ্যাকেই ছাপিয়ে যাবে।
চাকরিজীবী মানুষের জন্য কিছু সুরক্ষা প্রকল্প থাকলেও এই ধরনের বিশাল অংশের জনতার জন্য আমাদের দেশে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা কিন্তু খুবই সামান্য। কর্মজীবনের শেষে এঁদের জন্য না আছে প্রভিডেন্ট ফান্ড, না আছে গ্র্যাচুইটি থেকে থোক টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা। সরকার সম্প্রতি অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা চালু করেছে ঠিকই, কিন্তু সেই প্রকল্পের আয়তন এখনও পর্যন্ত আড়েবহরে তেমন বড় কিছু নয়। ফলে আগে থেকে পরিকল্পনা করে অর্থ সঞ্চয় না করলে বৃদ্ধ বয়সটাকে ছেড়ে দিতে হয় গভীর অনিশ্চয়তার হাতে।