—প্রতীকী চিত্র।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের উপর ইজ়রায়েল ও প্যালেস্টাইনি মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের সংঘর্ষের প্রভাব নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করল ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি বা আইইএ। তাদের দাবি, একে তো রাশিয়া এবং সৌদি আরব জ্বালানির উৎপাদন কমিয়েছে। তার উপর অবস্থাজটিল করেছে পশ্চিম এশিয়ায় মাথা তোলা সংঘাত। এতে তেলের জোগান ব্যাহত হতে পারে। তখন বাড়তে পারে তার দর। যা মূল্যবৃদ্ধির পক্ষে খারাপ খবর। আইইএ-র সতর্কবার্তা, সে ক্ষেত্রে সেই সব উন্নয়নশীল দেশই সব থেকে বেশি ভুগবে, যারা তেল এবং অন্যান্য জ্বালানি আমদানি করে চাহিদা মেটায়। উল্লেখ্য, আইইএ প্যারিস ভিত্তিক স্বশাসিত একটি সংস্থা। যারা বিশ্ব জুড়ে সমস্ত দেশের সঙ্গে জ্বালানি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করে। এর মধ্যে অন্যতম নীতির সুপারিশ, তথ্য-পরিসংখ্যান প্রকাশ এবং বিশ্লেষণ।
তেলের দাম যে অস্থির, তা স্পষ্ট। ইজ়রায়েল-হামাস সংঘাত শুরুর আগের দিন, এ মাসের ৬ তারিখ বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের (ব্রেন্ট ক্রুড) দাম ব্যারেলে ছিল ৮৫ ডলার। পশ্চিম এশিয়া উত্তপ্ত হতেই তা ৯৬ ডলারে চলে যায়। পরে ৯০-এর নীচে নামলেও শুক্রবার আবার ৯৩ ডলার পেরিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরে ইজ়রায়েল-হামাস বিরোধ— একের পর এক ঘটনা তেলের জোগানে ধাক্কা দিচ্ছে বলেই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্কা যাচ্ছে না। ভারত-সহ বিভিন্ন দেশ টানা সুদ বাড়ালেও দামে স্বস্তি ফেরেনি। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, আইইএ-র বার্তা ভারতের জন্য উদ্বেগজনক। কারণ এ দেশ চাহিদার বেশির ভাগ তেলই আমদানি করে। এখানে দীর্ঘ দিন ধরে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম স্থির। অথচ তা কমলে মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ পড়ত কিছুটা।
আইইএ-র এগজ়িকিউটিভ ডিরেক্টর ফেইথ বাইরলের মতে, বাজার অস্থির থাকবে। সংঘাত তেলের দর বাড়াতে পারে। যা মূল্যবৃদ্ধির জন্য খারাপ। বিশেষত উন্নয়নশীল দেশের পক্ষে। তার উপর সৌদি আরব ও রাশিয়া তেল উৎপাদন ছাঁটাই করেছে। চিনে চাহিদা বৃদ্ধির আশা। ফলে জোগানে টানাটানি চলতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy