গ্রামাঞ্চলে মূল্যবৃদ্ধির হার চড়ছে, প্রকৃত মজুরি কমছে এবং শ্লথ হচ্ছে চাহিদা। প্রতীকী ছবি।
কোভিড রুখতে ডাকা লকডাউনে প্রচুর শ্রমিক কাজ হারিয়ে শহর ছেড়েছিলেন ঘরে ফেরার তাগিদে। গ্রামীণ অর্থনীতি নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ে দেশে অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সময়। পরবর্তীকালে চড়া মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্বের ধাক্কা কেড়ে নিয়েছে চাহিদা। ফলে দেশে আর্থিক কর্মকাণ্ড খুললেও, গাঁ-গঞ্জে বিক্রিবাটা ঝিমিয়ে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ঋণ সংক্রান্ত তথ্য প্রদানকারী ক্রিফ হাই মার্ক-এর রিপোর্টে দাবি, গ্রামাঞ্চলে মজুরি বৃদ্ধির হার পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে দৌড়ে পিছিয়ে পড়ছে। বিভিন্ন নীতির মাধ্যমে আমজনতাকে সাহায্যের প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে সরকারকে।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ছাড়পত্র রয়েছে ক্রিফের। সংস্থাটির দাবি, গ্রামাঞ্চলে মূল্যবৃদ্ধির হার চড়ছে, প্রকৃত মজুরি কমছে এবং শ্লথ হচ্ছে চাহিদা। তাই সরকার এবং নীতিপ্রণেতাদের সাহায্য বহাল রাখা জরুরি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বাজারে প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু আয় বাড়েনি। ফলে বহু মানুষ খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। ক্রিফ জানিয়েছে, গত বছরের প্রথমার্ধে গ্রামাঞ্চলে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল শহরাঞ্চলের থেকে বেশি। কেনাকাটাও কমেছে। শহরের (৬%) তুলনায় গ্রামে মূল্যবৃদ্ধি (৬.৮৫%) চড়ে থাকার ছবি স্পষ্ট কেন্দ্রের পরিসংখ্যানেও।
ক্রিফ যদিও বলেছে, কমেছে গড় গ্রামীণ বেকারত্ব। অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক, ঋণ সংক্রান্ত তথ্য এবং গ্রামাঞ্চলে ব্যবসারত সংস্থাগুলির সমীক্ষার ভিত্তিতে তৈরি ব্যবসার আস্থা সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে ২০২২-এ ৭৩.৫ ছুঁয়েছে। অতিমারির সঙ্কট কাটাতে সরকারও সেখানকার ছোট ব্যবসা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রকে ঋণের ব্যবস্থা-সহ নানা সুবিধা দিয়েছে। ফলে গ্রামীণ ভারতে বিভিন্ন শিল্পের আর্থিক পরিস্থিতি এখন ইতিবাচক।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৭০% মনে করে সরকারি নীতি এবং প্রকল্প ২০২২-এ গ্রামাঞ্চলকে বৃদ্ধির পথে এগিয়ে দিয়েছে। তবে ১৭ শতাংশের আশঙ্কা, ঋণ পাওয়ার সুযোগ কমেছে। ২০২১ সালে এই আশঙ্কা ছিল ৭ শতাংশের। ২০২০-২১ সালের তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ঋণ বিলি ও তার পরিমাণ বাড়লেও বাণিজ্যিক ঋণ ৫% কমেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy