E-Paper

বিদেশের সম্পদে চোখ, ২৫ হাজার জনকে চিঠি দিল আয়কর বিভাগ

করদাতার ব্যক্তিগত পরিসরে হস্তক্ষেপ না করে, বিশেষ সূত্রে হাতে আসা তথ্যের ভিত্তিতে কর ফাঁকি ধরার এই অভিযান শুরু করেছে প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ। লক্ষ্য, স্বেচ্ছায় কর মেটানোর সুযোগ দেওয়া। এটি দ্বিতীয় দফার ‘নাজ’ প্রকল্প।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:৩১

—প্রতীকী চিত্র।

বিদেশে করা আয় ফাঁকি ধরতে উদ্যোগী হয়েছে আয়কর দফতর। করদাতা বিদেশে তৈরি সম্পদ গোপন করলেও, তা আসবে তাদের আতসকাচের তলায়। শুক্রবার থেকে এমন ২৫,০০০ জনকে চিহ্নিত করে এসএমএস এবং ই-মেল পাঠাতে শুরু করেছে তারা। বকেয়া কর মেটাতে হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে। আয়কর আইনে কেউ বিদেশে আয় করলে বা আর্থিক সম্পদ তৈরি করলে, তা দেশে আয়কর রিটার্নে জানাতে হয়। না জানানো শাস্তিমূলক অপরাধ। রিটার্ন জমা হলে তা সংশোধন করে সব তথ্য জানিয়ে ফের জমা দিতে হবে।

করদাতার ব্যক্তিগত পরিসরে হস্তক্ষেপ না করে, বিশেষ সূত্রে হাতে আসা তথ্যের ভিত্তিতে কর ফাঁকি ধরার এই অভিযান শুরু করেছে প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ। লক্ষ্য, স্বেচ্ছায় কর মেটানোর সুযোগ দেওয়া। এটি দ্বিতীয় দফার ‘নাজ’ প্রকল্প। মূলত দু’টি আন্তর্জাতিক সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে তারা। বিভিন্ন দেশের আর্থিক উন্নয়ন ও সহযোগিতা সংক্রান্ত সংগঠন ওইসিডির তৈরি ব্যবস্থা ‘কমন রিপোর্ট স্ট্যান্ডার্ড’ (সিআরএস) এবং আমেরিকার তৈরি আইন ‘ফরেন অ্যাকাউন্ট ট্যাক্স কমপ্লায়েন্স অ্যাক্ট’ (ফাটকা)। এর মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতার শর্তে বিভিন্ন দেশ জানতে পারে তাদের নাগরিকেরা বিদেশে কত সম্পদ তৈরি করছেন।

সূত্র জানাচ্ছে, বিদেশের আয় এবং আর্থিক সম্পদের কথা ঘোষণা করলে করদাতা দেশে বেশ কিছু সুবিধা পান। যেমন, ওই আয়ের উপর বিদেশে কর দিলে দেশে ছাড়। বিদেশের আয় এবং সম্পদ ঘোষণা গোপন করার দায়ে কালো টাকা সংক্রান্ত ২০১৫-র আইনে দোষী সাব্যস্ত হওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া। কিন্তু স্থাবর সম্পত্তি ছাড়া গোপন করা আয় এবং সম্পদ ২০ লক্ষ টাকা ছাড়ালে গুনতে হবে ৩০% কর এবং ৩০০% জরিমানা। সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ১০ লক্ষ টাকা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Tax Taxes

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy