আয়কর রিটার্ন (ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন বা আইটি রিটার্ন) জমার পর লম্বা সময় পার। কিন্তু তার পরেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আসেনি রিফান্ডের টাকা? এই বিলম্বের নেপথ্যে থাকতে পারে একাধিক কারণ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আইটি রিটার্নের রিফান্ড না পেলে করদাতার কী করা উচিত? আনন্দবাজার ডট কম-এর এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
আয়কর দফতর সূত্রে খবর, করদাতাদের অনেকেই রিটার্ন জমার সময়ে দেন না ব্যাঙ্কের সঠিক তথ্য। ভুল থাকে আইএফএসসি কোডে। এর জেরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আসে না রিফান্ডের টাকা। এ ছাড়া ‘ট্যাক্স ডিডাকটেড অ্যাট সোর্স’ বা টিডিএসের হিসাবে গরমিল থাকলেও এই সমস্যা হয়। উল্লেখ্য, রিফান্ড ইস্যু হওয়ার পর সেই টাকা করদাতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আসতে সময় লাগে ১৫ থেকে ৩০ দিন। এর জন্য ব্যাঙ্কের তথ্য এবং ২৬এএস ফর্মের বিবরণী খুঁটিয়ে পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।
এই সমস্যার সমাধানের জন্য করদাতাকে ফের এক বার আয়কর রিটার্নের ই-ফাইলিং ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে। সেখানে রিফান্ড বা ডিমান্ড নামের একটি স্ট্যাটাস বিভাগ দেখতে পাবেন তিনি। সেখানে ঢুকে গ্রাহককে যাবতীয় তথ্য পরীক্ষা করতে হবে। বিবরণী সঠিক থাকলে ফের এক বার রিফান্ডের জন্য আবেদন করতে হবে। সেটা গ্রাহ্য হলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাবেন ওই ব্যক্তি।
তবে আয়কর দফতরের পোর্টালে ‘রিফান্ড ফাইল ডেসপ্যাচ’ কোড তৈরি হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট করদাতাকে ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ় ডিপোজ়িটরি লিমিটেড’ বা এনএসডিএলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া ওই ব্যক্তি ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়েও কথা বলতে পারেন। সে ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত বা অন্য কোনও কারণে টাকা পেতে দেরি হচ্ছে কি না, সেটা জানতে পারবেন তিনি।
আরও পড়ুন:
যে করদাতাদের আয়ের উৎস বেতন, ব্যাঙ্কের সুদ বা এই ধরনের বিষয়গুলির মধ্যে সীমাবদ্ধ, তাঁদের জমা দেওয়া রিটার্ন তথ্য দ্রুত যাচাই করে ফেলে কেন্দ্র। কিন্তু যাঁরা টিডিএসের বিবরণী সরাসরি পোর্টালে পৌঁছোলে রিটার্ন দাখিল করেন, তাঁদের তথ্য প্রক্রিয়াকরণে সাধারণত বিলম্ব দেখতে পাওয়া যায়। ২০২৫-’২৬ মূল্যায়ন বছরের আইটি রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ১৬ সেপ্টেম্বর।
চলতি বছরে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা দু’বার বৃদ্ধি করে কেন্দ্র। প্রথমে ৩১ জুলাই থেকে বেড়ে তা হয়েছিল ১৫ সেপ্টেম্বর। পরে তা বৃদ্ধি পায় আরও এক দিন। তবে অডিট মামলার সময়সীমা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ধার্য রেখেছে আয়কর দফতর।