অতিমারির প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে অর্থনীতি শক্ত পায়ে পথ চলা শুরু করলেও, দ্বিতীয় ধাক্কা সেই ছবি বদলে দিয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। একই দিনে ঠিক একই কারণে চলতি অর্থবর্ষে দেশের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছাঁটাই করল মূল্যায়ন সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস। জানাল, এ বছর দেশের জিডিপি দাঁড়াতে পারে ৮.২%-৯.৮%। ধাক্কা লাগতে পারে মূল্যায়নে। এই প্রথম চলতি অর্থবর্ষের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ১০ শতাংশের নীচে নামাল কোনও মূল্যায়ন সংস্থা। আগে গোল্ডম্যান স্যাক্স ক্যালেন্ডারবর্ষের বৃদ্ধির পূর্বাভাস দুই অঙ্কের নীচে নামিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, নির্দিষ্ট সময় না-জানালেও করোনার তৃতীয় ঢেউ যে অবশ্যম্ভাবী, ঘটনাচক্রে সে কথা আজই জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই আশঙ্কা যদি সত্যি হয়, সে ক্ষেত্রে তা অর্থনীতিকে আরও উদ্বেগজনক জায়গায় দাঁড় করাতে পারে।
একই সঙ্গে চিন্তা বাড়িয়েছে পরিষেবা ক্ষেত্রও। আইএইচএস মার্কিটের ইন্ডিয়া সার্ভিসেস বিজ়নেস অ্যাক্টিভিটি ইন্ডেক্স অনুযায়ী, এপ্রিলে ওই ক্ষেত্রের সূচক দাঁড়িয়েছে ৫৪। যা গত তিন মাসের সর্বনিম্ন। মার্চে ৫৪.৬ ছিল। অর্থাৎ, পরিষেবা ক্ষেত্র বৃদ্ধির মুখ দেখলেও তার হার কমেছে। উল্লেখ্য, এই সূচক ৫০-এর উপরে থাকা বৃদ্ধিকে ইঙ্গিত করে। তার কম মানে সঙ্কোচন।
মার্চে এসঅ্যান্ডপি জানিয়েছিল, সঙ্কোচনের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসার পরে ভারতীয় অর্থনীতি যে ভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তাতে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বৃদ্ধি ১১% ছুঁতে পারে। কিন্তু এ দফায় দু’টি পরিস্থিতির কথা বলছে তারা। রিপোর্ট জানাচ্ছে, সংক্রমণকে চলতি মাসেই নিয়ন্ত্রণ করা গেলে বৃদ্ধি হতে পারে ৯.৮%। কিন্তু জুনে তা আরও মাথাচাড়া দিলে তা ৮.২ শতাংশেও নামতে পারে। বলা হয়েছে, ‘‘করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ ভারতীয় অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়াকে লাইনচ্যুত করতে পারে। ধাক্কা লাগতে পারে মূল্যায়নে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy