দ্রুত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির প্রথম দফা সেরে ফেলতে চাইছে ভারত-আমেরিকা। সূত্রের খবর, কথাবার্তা শেষ পর্যায়ে পৌঁছলেও কিছু বিষয়ে একমত হতে পারছে না নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটন। তার মধ্যে অন্যতম কৃষিপণ্য, বিশেষত যেগুলি ‘জেনেটিক্যালি মডিফায়েড’ (জিএম)। আমেরিকা চায় ভারত এই ধরনের পণ্যের বাজার খুলে দিক। কিন্তু নারাজ নয়াদিল্লি। এই অবস্থায় বাণিজ্য উপদেষ্টা জিটিআরআই আমেরিকা থেকে জিএম কৃষিপণ্য আমদানির ব্যাপারে সতর্ক করল ভারতকে। তাদের বক্তব্য, এতে রফতানি ধাক্কা খেতে পারে। বিশেষ করে সমস্যা হতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলিতে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে।
আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত আমেরিকা ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের উপরে চড়া শুল্ক চাপানো স্থগিত রেখেছে। তাই তার মধ্যে প্রাথমিক বাণিজ্য চুক্তি করতে মরিয়া মোদী সরকার। এ জন্য তারা আপস করবে নাকি নিজের অবস্থানে অনড় থাকবে, তা নিয়ে উদ্বেগ থাকছেই।
সূত্র জানাচ্ছে, কোনও একটি কৃষিপণ্যের মূল চরিত্র পাল্টে যায় তার জিনগত বদলে (জেনেটিক্যালি মডিফায়েড)। ফলন বা পুষ্টি বৃদ্ধি-সহ নানা কারণে তা করা হয়। জিটিআরআই জানিয়েছে, জিএম পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ইইউ-র দেশগুলিতে বিধিনিষেধ রয়েছে। তা পুরো নিষিদ্ধ না হলেও, সেখানকার মানুষ জিএম পণ্য ব্যবহারের করতে চান না। সয়াবিন মিল কিংবা পশুখাদ্য তৈরির জন্য ব্যবহৃত শুকনো শস্য দানার মতো জিএম পণ্য আমদানি করা হলে, ইউরোপীয় অঞ্চলে ভারতীয় রফতানি বাধার মুখে পড়তে পারে। জিটিআরআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, “রফতানির ক্ষেত্রে ইইউ-র বাজার ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু জিএম কৃষিপণ্যবাহী জাহাজ ওই সব দেশে ভিড়তে বাধা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে জিএম মুক্ত কৃষিপণ্য প্রস্তুতকারী হিসাবে ভারতের ভাবমূর্তিও নষ্ট হবে।’’
উপদেষ্টার মত
আমেরিকা থেকে জিএম পণ্য ভারতের বাজারে ঢুকলে এ দেশের কৃষি সামগ্রীর রফতানি মার খাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো বাজারে। কারণ, অনেক ইউরোপীয় ক্রেতা জিএম মুক্ত জোগানশৃঙ্খল চান।
ধাক্কা খেতে পারে দেশের সামগ্রিক রফতানি শিল্প।
বিপাকে পড়বেন দেশীয় উৎপাদকেরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)