প্রতীকী ছবি।
মূল্যবৃদ্ধির বাজারে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে পাম তেল!
অতিবৃষ্টিতে পাম তেল উৎপাদনকারী দেশগুলিতে উৎপাদন মার খেতে শুরু করেছে। ফলে সারা বিশ্বেই কমতে পারে পণ্যটির জোগান। বাড়তে পারে দাম। সেই আশঙ্কা বাড়ছে ভারতেও। কারণ, বিশ্বে পাম তেল আমদানিকারী দেশগুলির মধ্যে ভারত প্রথম। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, জিনিসের আগুন দামের জেরে বাজারে গিয়ে রোজই সাধারণ মানুষের হাতে ছেঁকা লাগছে। এর মধ্যে পাম তেলের দামও বাড়লে তাঁরা আরও বিপাকে পড়বেন।
রান্নার পাশাপাশি জৈব জ্বালানি তৈরিতেও পাম তেল ব্যবহার হচ্ছে। যা পণ্যটির চাহিদা বাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে সূর্যমুখী তেলের আমদানি অনিশ্চিত হওয়া সেই চাহিদাকে আরও ইন্ধন দিচ্ছে। সয়া অয়েল-সহ বিভিন্ন ভোজ্য তেলের তুলনায় দাম এখনও কম হলেও, গত মার্চে পাম তেলের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছয়। মাঝে কিছুটা কমলেও সম্প্রতি তা ফের মাথা তুলতে শুরু করেছে।
বিশ্বে ৮০ শতাংশেরও বেশি পাম তেল উৎপাদন ও রফতানি করে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া। কিন্তু তিন দফা ‘লা নিনা’ আবহাওয়ার জেরে পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে শুরু হয়েছে অতিবৃষ্টি। মার খাচ্ছে পাম উৎপাদন। ফলন যতটুকু হচ্ছে তা-ও বাগান থেকে আনা যাচ্ছে না। মালয়েশিয়ার এক পাম বাগানের ম্যানেজার ফ্যাবিয়ান লিম বলেন, ‘‘টানা বৃষ্টি হচ্ছে। কিছু জায়গায় বন্যাও হয়েছে। বাগানে পাম ফল পড়ে। তা তুলে কারখানায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’’
এ দিকে, উৎপাদন কমায় দেশে সরবরাহ ঠিক রাখতে ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রফতানিতে শুল্ক চাপাতে পারে বলে খবর। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, সে ক্ষেত্রে দাম আরও বাড়বে। তাঁরা বলছেন, আগাম লেনদেনে নভেম্বরের বরাতের জন্য টনে দাম উঠেছে ৯৭৬ ডলারে। জানুয়ারি ক্ষেত্রে ১০১০ ডলার। মুম্বইয়ের এক ডিলারের আশঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া বিধিনিষেধ চাপালে তা ১১০০ ডলার হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy