এক দিকে বন্ধুত্বের বার্তা। অন্য দিকে বৈরী মনোভাব। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই দু’মুখো নীতি সত্ত্বেও মোদী সরকারের আশা, নভেম্বরের মধ্যেই ভারত-আমেরিকার প্রথম দফার বাণিজ্য চুক্তি সই হয়ে যাবে। অথচ রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য ট্রাম্প নিজে তো ভারতের উপরে বাড়তি ২৫% শুল্ক (মোট ৫০%) চাপিয়েইছেন, এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) ১০০% শুল্ক বসাতে চাপ দিচ্ছেন। তার পরেও নয়াদিল্লি মনে করছে, ভারত-ইইউ বাণিজ্য চুক্তিও চূড়ান্ত হবে চলতি বছরেই।
বুধবারই ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তাঁর ‘খুব ভাল বন্ধু’ তকমা দিয়ে জানান, ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে দর কষাকষি চলছে। মোদীও একে স্বাগত জানান। অথচ এ বার ট্রাম্প ইইউ-কে ভারত ও চিনের উপরে ১০০% শুল্ক চাপানোর ডাক দিয়েছেন। যাতে রাশিয়ার তেল আমদানির জন্য তাদের শাস্তি দেওয়া যায়। আজ আবার আমেরিকার বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক চাপ বাড়িয়ে বলেছেন, ‘‘ভারতকে বাজার খুলতে হবে। রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে হবে। তা হলে আমেরিকা ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে নিষ্পত্তি করবে।’’ একই সঙ্গে আমেরিকা জানিয়েছে, ট্রাম্প ভারতে কোয়াড-এর বৈঠকে যোগ দেবেন কি না, সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।
কেন্দ্রের অবশ্য আশা, ইইউ ভারতে শুল্ক চাপাবে না। তাদের বাণিজ্য কমিশনার ম্যারোস সেফকোভিক এবং কৃষি কমিশনার ক্রিস্টফ হ্যানসেন বৃহস্পতিবার দিল্লি পৌঁছেছেন। বাণিজ্য মন্ত্রকের আশা, এই সফরে ইইউ-র সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা আরও এগোবে। চলতি বছরের মধ্যেই চুক্তি সেরে ফেলা হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনার উরসুলা ভন ডার লেনও একই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এ দিকে আজ বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানিয়েছেন, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা ইতিবাচক আবহে ভাল ভাবেই এগোচ্ছে। তাঁর আশা, নভেম্বরেই প্রথম দফার চুক্তি সেরে ফেলা সম্ভব হবে। ইইউ-র সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে বলেও দাবি তাঁর।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)