ভারত চাইছে, আমেরিকা অধিকাংশ ভারতীয় পণ্যের উপরে যে ১০% শুল্ক চাপিয়ে আসছে, তা কিছু ক্ষেত্রে কমিয়ে শূন্যে নামাক। আমেরিকা ভারতের রফতানি করা ইস্পাতে ২৫% শুল্কই আদায় করতে চায়। যা থেকে ছাড় চেয়েছে ভারত।
শুল্ক নিয়ে দর কষাকষি ছাড়াও আমেরিকার দাবি, ভারতকে তাদের থেকে বিপুল তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস,বিমান, পরমাণু চুল্লি কিনতে হবে। অ্যামাজ়ন, ওয়ালমার্টের মতো সংস্থাকেসুবিধা করে দিয়ে বহু ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসায় শিথিল করতে হবে শর্ত।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে এই সব প্রশ্নেই শেষ পর্বের দর কষাকষি চলছে ভারত-আমেরিকার আমলাদের মধ্যে। ওয়াশিংটনে বাণিজ্য মন্ত্রকের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়ালের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা মনে করছেন, আগামী দু’দিন গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়েই ঠিক হবে ৯ জুলাইয়ের আগে অন্তত প্রথম দফার চুক্তি সম্ভব হবে কি না। ডোনাল্ড ট্রাম্প এপ্রিলে ভারতের উপরে যে ২৬% শুল্ক বসান, তা ৯ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত। আমেরিকার রাজস্ব সচিব স্কট বেসেন্টের হুঁশিয়ারি, তার আগে অন্তত আংশিক চুক্তি না হলে চড়া শুল্ক ফিরতে পারে।
আজ হোয়াইট হাউস অবশ্য বলেছে, ‘কৌশলগত শরিক’ ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে কথা চূড়ান্ত পর্যায়ে। প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিটের বক্তব্য, ট্রাম্প গত সপ্তাহেই চুক্তির সম্ভাবনার কথা বলেছেন। বাণিজ্য সচিব ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তা চূড়ান্ত করতে ব্যস্ত। শীঘ্রই ভারত নিয়ে প্রেসিডেন্ট মুখ খুলবেন। সচিব মনে করান, ‘‘ভারত এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত শরিক। ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সম্পর্ক খুবই ভাল। সেই সম্পর্ক ভালই থাকবে।’’
এই পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমে রিপাবলিকান সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহামের দাবি, সেনেটে প্রস্তাবিত বিলেবলা হয়েছে, ভারত ও চিনের মতো যে দেশই রাশিয়ার থেকে তেল কিনবে, তাদের উপর ৫০০% শুল্ক বসাবে আমেরিকা। মস্কোকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ থামাতে শান্তিপূর্ণ আলোচনার টেবিলে আনাই উদ্দেশ্য। তবে ধাক্কা লাগতে পারে ভারত ও চিনের উপরে। তারা রাশিয়া থেকে ৭০% তেল কেনে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)