প্রতীকী চিত্র।
পাঁচ বছর সময় লাগলেও বিচার পেলেন চণ্ডীগড়ের মহিলা। ট্রেনে ব্যাগ চুরি যাওয়ায় রেলকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
২০১৭ সালের ২৭ অগস্ট। ট্রেনে সফর করার সময়ে সীমা অরোরা নামে চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা ওই মহিলার ব্যাগ চুরি হয়ে যায়। এর পরেই তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে মামলা হয় চণ্ডীগড় জেলার গ্রাহক আদালতে। দীর্ঘ সময় মামলা চলার পরে এ বার রায় প্রকাশিত হল। রেলমন্ত্রক ও উত্তর রেলকে আদালত নির্দেশ দিয়ে বলেছে সীমাকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ২৭ অগস্ট চণ্ডীগড় থেকে শিরিডি সফর করেন সীমা। চণ্ডীগড় থেকে একটি ব্যাগ নিয়ে তিনি পাঁচ সঙ্গীর সঙ্গে ট্রেনে ওঠেন। ট্রেনটি রাত ১১টা নাগাদ নয়াদিল্লি স্টেশনে পৌঁছয়। সেই সময়ে সীমা রাতের খাওয়া দাওয়া করেন এবং রাত ১টা নাগাদ ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল ৬টা নাগাদ চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে যায়। দেখেন, ট্রেনটি স্টেশন ছাড়া দাঁড়িয়ে পড়েছে। সকলের চিৎকারে সীমা বুঝতে পারেন ট্রেনে চোর উঠেছিল। অনেকের সঙ্গে তাঁর ব্যাগটিও খোয়া গিয়েছে বুঝতে পেরে রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন সীমা। তিনি জানান, চুরির ফলে পায়ের চটি আর মোবাইল ছাড়া কিছুই ছিল না তাঁর কাছে। তাঁর খাওয়া দাওয়ার সমস্যা সংক্রান্ত অসুখের জন্য কিছু ওষুধের উপরে নির্ভর করতে হয়। কিন্তু ব্যাগ চুরি যাওয়ায় তিনি খুবই মুশকিলে পড়ে যান।
রেল অবশ্য সহজে অভিযোগ মেনে নেয়নি। আদালতে রেলের বক্তব্য ছিল, তাদের কর্তব্যে কোনও গাফিলতির জন্য চুরি হয়নি বরং, ওই মহিলার সচেতনতার অভাবের অঘটন। রেলের পক্ষে বলা হয়, ট্রেনের বগিতে প্রতিটি বার্থের নীচে ব্যাগ বেঁধে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে এবং তা যাত্রীদের নানা ভাবে জানানো হয়। তা সত্ত্বেও ওই যাত্রী ব্যাগ না বেঁধে রেখেছিলেন। যদিও গ্রাহক আদালতে রেলের আর্জি টেকেনি। নির্দেশে বলা হয়েছে, রেলের পক্ষ থেকে ওই যাত্রীকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩৫ হাজার টাকা এবং মামলার খরচ হিসেবে ১৫ হাজার মিলিয়ে মোট ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy