সব ঠিক থাকলে আড়াই দশক পরে আগামী বছর কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ হতে পারে রবিবারে। ২০২৬ সালের ক্যালেন্ডারে ১ ফেব্রুয়ারি রবিবার পড়েছে। সে ক্ষেত্রে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি রবিবার হলেও সে দিন শেয়ার বাজার খোলা রাখা হবে। অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সংসদীয় বিষয়ক কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। রাজনৈতিক স্তরে একটিই বিষয় এখানে বিবেচ্য। তা হল, ১ ফেব্রুয়ারি গুরু রবিদাস জয়ন্তী রয়েছে। দিল্লি, হরিয়ানার মতো হিন্দি বলয়ের কিছু রাজ্যে সে দিন সরকারি ছুটি থাকে।
অর্থ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, শেষ বার, ১৯৯৯ সালে রবিবার বাজেট পেশ হয়েছিল। তখনও এনডিএ জমানা। অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিন্হা রবিবাসরীয় বাজেট পেশ করেছিলেন। তখন অবশ্য ২৮ ফেব্রুয়ারি বা ফেব্রুয়ারির শেষ দিন বাজেট পেশ হত। অরুণ জেটলি অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১৭ সালে বাজেট পেশের নিয়ম বদলে যায়। আলাদা ভাবে রেল বাজেট পেশ বন্ধ হয়। পরিকল্পনা ও পরিকল্পনা বহির্ভূত খাতে খরচ দেখানোর বদলে শুধু মাত্র মূলধনী ও রাজস্ব খাতে খরচ দেখানো শুরু হয়। সেই সঙ্গে বাজেট পেশের দিনও এগিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি করা হয়। তার পরে বেশ কয়েক বার ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার হওয়া সত্ত্বেও বাজেট পেশ হলেও ঘটনাচক্রে কোনও রবিবার বাজেট পেশ হয়নি। এ বছরই ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
শনি ও রবিবার শেয়ার বাজার বন্ধ থাকলেও বাজেটের দিন বলে সেই শনিবার শেয়ার বাজার খোলা ছিল। আগামী বছর ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ হলে বাজার খোলা থাকবে। না হলে রবিবার বাজেট পেশের ২৪ ঘণ্টা পরে সোমবার শেয়ার বাজার খুললে বাজারে প্রবল ওঠানামা হতে পারে। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ হলে তার আগের দিন শনিবার, ৩১ জানুয়ারি সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। সে দিন সংসদের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা হবে। তার পরে আর্থিক সমীক্ষা পেশ হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)