প্রতীকী ছবি।
বাজারে চরম অনিশ্চয়তার নজির রেখে মঙ্গলবার সকালের দিকে প্রায় ৬৫৮ পয়েন্ট ওঠার পরেও পতনেই দিন শেষ করল সেনসেক্স। আগের দিনের তুলনায় সূচক ৮১০.৯৮ পয়েন্ট নেমে দাঁড়াল ৩০,৫৭৯.০৯ অঙ্কে। নিফ্টিও ২৩০.৩৫ কমে থিতু হয়েছে ৮৯৬৭.০৫-তে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, পড়তি বাজারে লগ্নিকারীদের শেয়ার কেনার জেরে শুরুতে বাজার উঠছিল। জ্বালানি জোগায় সিঙ্গাপুরে নথিভুক্ত ভারতীয় সূচক এসজিএক্স নিফ্টির উত্থানও। তবে দেশ ও বিশ্ব অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের ধাক্কা কতটা মারাত্মক হতে পারে, তা নিয়ে একের পর এক উদ্বেগের বার্তা আসতে থাকায় এবং ফের মূল্যায়ন সংস্থা মুডি’জ় ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছাঁটাই করায় সতর্ক হন লগ্নিকারীরা। বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিও ৪০৪৪.৬৯ কোটি টাকার শেয়ার বেচে দেন। লেনদেনের শেষ মুহূর্তে দ্রুত নামে বাজার। ইউরোপের সূচকগুলি অবশ্য উঠেছে। এশিয়ার বাজার ছিল মিশ্র। তবে বিপুল পতনের জেরে এ দিন ফিলিপিন স্টক এক্সচেঞ্জ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়। লেনদেন বন্ধ করে দিতে হয় ফিলিপিন্সের মুদ্রা ও বন্ড বাজারেও। বাজার মহল বলছে, করোনা আতঙ্কের জেরে বিশ্বে এই প্রথম কোনও শেয়ার বাজার এ ভাবে বন্ধ হয়ে গেল। সে দেশের শেয়ার বাজার কর্তৃপক্ষের দাবি, লগ্নিকারীদের আরও মার খাওয়ার ঝুঁকি আটকাতেই এই পদক্ষেপ।
আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম আরও নেমেছে এ দিন। ব্রেন্ট ক্রুড দাঁড়িয়েছে ব্যারেল প্রতি প্রায় ২৯ ডলারে।
স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজ়ের চেয়ারম্যান কমল পারেখ বলেন, ‘‘আমার আশঙ্কা ভারতে সূচক আরও পড়বে। তাই সাধারণ লগ্নিকারীদের বাজার থেকে এখন দূরে থাকাই ভাল।’’ টানা দু’দিনে যে বাজারে লগ্নিকারীরা হারিয়েছেন ৯.৭৪ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy