বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ২০১৭ সালে ৩.৫ শতাংশ ছোঁবে বলে ইঙ্গিত দিল আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আইএমএফ)। উৎপাদন ও ব্যবসা-বাণিজ্য ফুলে-ফেঁপে ওঠার হাত ধরে তাতে ইউরোপ, জাপান ও চিনা অর্থনীতিই নেতৃত্ব দেবে। তবে একই সঙ্গে তার হুঁশিয়ারি, ব্যবসা-বাণিজ্যে রক্ষণশীল নীতির জেরে থমকে যেতে পারে এই বৃদ্ধি। ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাসও ছাঁটাইও করেছে আইএমএফ। নোট বাতিলের ধাক্কায় চাহিদায় কোপ পড়ার জেরেই তা ৭.২ শতাংশে নেমে আসবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে তারা। এর আগে ছিল ৭.৬%।
বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গে বৈঠকের আগে মঙ্গলবার প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকনমিক আউটলুক-এ আইএমএফ দুনিয়া জুড়ে গড়ে উৎপাদন ৩.৫ শতাংশ হারে বাড়বে বলে আগাম পূর্বাভাস দিয়েছে। এর আগে জানুয়ারিতে ৩.৪ শতাংশ বৃদ্ধির আভাস দিয়েছিল তারা। আইএমএফের মতে, উন্নত দুনিয়ার উপর জমে থাকা আর্থিক মন্দার মেঘ কাটতে শুরু করেছে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে। আইএমএফের গবেষণা বিভাগের ডিরেক্টর ও আর্থিক উপদেষ্টা মরিস অব্স্টফেল্ড বলেন, ‘‘গত বছরের ৩.১ শতাংশ থেকে বেড়ে এ বছরে বৃদ্ধি ৩.৫ শতাংশ ছোঁয়ার কথা। ২০১৮ সালে তা পৌঁছতে পারে ৩.৬ শতাংশে। জোরকদমে এগোবে উন্নত দুনিয়া, নতুন শিল্পোন্নত দেশগুলি এবং কম আয়ের অর্থনীতি।’’ ইউরোপ ও এশিয়াকেই বিশ্ব অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে ধরেছে আইএমএফ। আর, এশিয়ার মধ্যে এগিয়ে থাকবে চিন, জাপান।
আমেরিকার বৃদ্ধির হার ২০১৬-র ১.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২.৩ শতাংশ ছোঁবে বলে আইএমএফ ইঙ্গিত দিলেও ট্রাম্পের রক্ষণশীল নীতি বিশ্ব অর্থনীতির উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছে আইএমএফ।
নরেন্দ্র মোদীর বড় অঙ্কের নোট বাতিলের প্রভাব ভারত এড়াতে পারবে না বলেও এ দিন মন্তব্য করেছে বিশ্বব্যাঙ্কের এই রিপোর্ট। নগদে টান পড়ায় চাহিদা মার খেয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy