প্রতীকী ছবি।
ভারতীয় রেলের শাখা, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা আইআরসিটিসি অনলাইনে টিকিট বুক করার জন্য যে কনভেনিয়েন্স ফি নেয় যাত্রীদের থেকে, সেই খাতে আয়ের অর্ধেক ভাগ চেয়েছিল রেল মন্ত্রক। রেল তা মেনে নিয়ে বৃহস্পতিবারই ৫০:৫০ ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তার জেরে শুক্রবার সকালে সংস্থার শেয়ার দর পড়ে প্রায় ৩০%। মুছে যায় প্রায় ২১,৯০০ কোটি টাকার শেয়ার মূল্য। তার পরেই তড়িঘড়ি আয় ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে রেল। তাতে শেয়ার দর এত বাড়ে যে, ক্ষতি পুষিয়ে নেয় আইআরসিটিসি।
এই ঘটনায় সমালোচিত হয়েছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য রথীন রায় টুইট করেন, ‘‘এই প্রশাসন সম্পর্কে যেটা আমাকে চিন্তায় রাখে তার আর একটা উদাহরণ। আর্থিক নীতি এবং পরিচালনায় তাদের সর্বব্যাপী অদক্ষতাই অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে।’’ সূত্রের দাবি, আইআরসিটিসি একমাত্র সংস্থা, যারা ভারতীয় রেলের যাত্রীদের খাবার পরিবেশন এবং নেটে টিকিট বুকিং করে। ফলে কনভেনিয়েন্স ফি বাবদ মোটা আয় হয়। বছরে গড়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। সিদ্ধান্ত না-ফেরালে রেল মন্ত্রককে ১৫০ কোটি দিতে হত।
সূত্র বলছে, মন্ত্রকের দাবিকে ভাল ভাবে নেননি লগ্নিকারীরা। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির আয়ের জরুরি উৎস এই ফি। তার ভাগ করা মানে আর্থিক স্বাস্থ্যের কোপ। তার উপরে কোভিডে রোজগার কমেছে। ১৫০ কোটি পাওয়ার ব্যবস্থা করতে গিয়ে ২২ হাজার কোটির ক্ষতিও কেন্দ্রকে সতর্ক করে। বিশেষত চড়া তেল নিয়ে যেখানে ক্ষোভের মুখে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy