তথ্যপ্রযুক্তি পরিকাঠামোর উন্নতির ফলে অফিস না গিয়েও কাজের সুবিধা বেড়েছে। এই ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এর ফলে দেশের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শহরগুলি থেকে প্রতিভা তুলে আনার সুযোগ পাচ্ছে প্রযুক্তি সংস্থাগুলি। তবে তার জন্য ডিজিটাল পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। তাতে যেমন ওই সমস্ত পেশাদারের পক্ষে আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্পে কাজ করতে সুবিধা হবে, তেমনই ছোট শহরগুলিতে সরাসরি পৌঁছে যাবে রোজগার। যা দেশের সামগ্রিক আর্থিক উন্নয়নে সাহায্য করবে। গত বাজেটে দেশে কৌশল শিক্ষার জন্য পাঁচটি উৎকর্ষ কেন্দ্র তৈরির কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এই প্রেক্ষিতে সরকারের সেই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন বিশেষজ্ঞেরা।
টেক মহিন্দ্রার চিফ অপারেটিং অফিসার অতুল সোনেজা বলেন, ‘‘দূরে বসে তথ্যপ্রযুক্তির কাজের পরিবেশ তৈরি হওয়ায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শহরের পেশাদারদের সুযোগ বেড়েছে। এসেছে দেশের সমস্ত কোনায় রোজগার এবং উন্নয়নকে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগও।’’ কৃত্রিম মেধা (এআই) সংস্থা জ্ঞানী ডট এআই-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও গণেশ গোপালনের কথায়, ‘‘দেশের ছোট শহরের প্রতিভাকে কাজে লাগাতে গেলে ইন্টারনেট পরিষেবা, ডিজিটাল পরিকাঠামো এবং কৌশল উন্নয়ন কর্মসূচিতে জোর দিতে হবে। কাজের নীতিকে নমনীয় করা, সাইবার নিরাপত্তা এবং সংস্থাগুলির মধ্যে বোঝাপড়ায় বাড়াতে হবে গুরুত্ব। এমন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে, যাতে ওই সমস্ত অঞ্চলের প্রতিভারা সহজে আন্তর্জাতিক প্রকল্পগুলির নাগাল পেতে পারেন।’’
শিক্ষা ক্ষেত্রে এআই নিয়ে আসার জন্য বাজেটে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। এর প্রশংসা করে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের বক্তব্য, এর ফলে ছাত্রজীবন থেকেই পড়ুয়ারা কাজের বাজারের সঙ্গে নিজেদের মানানসই করে গড়ে তুলতে পারবেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)