হলমার্ক না থাকলে তো কথাই নেই। সেই ছাপ থাকা গয়না কিনেও প্রতারিত হওয়ার কথা শোনা যায় মাঝেমধ্যেই। বুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডসের (বিআইএস) দাবি, হলমার্কে সেই হয়রানি থাকবে না। ক্রেতা যদি হলমার্ক ছাপ দেওয়া গয়না কিনেও প্রতারিত হয়ে থাকেন, তা হলে তাঁর উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ব্যবস্থা করবে তারা।
গয়নায় হলমার্কের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা জরুরি বলে মঙ্গলবার মন্তব্য করেন বিআইএসের আঞ্চলিক ডিরেক্টর কে কে পাল। তিনি বলেন, ‘‘হলমার্ক করা গয়না কিনেও ঠকলে ক্রেতা বিআইএসের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ সংশ্লিষ্ট গয়না বিক্রেতার কাছ থেকে আদায়ের ব্যবস্থা করবে তারা। এর জন্য অবশ্য গয়না কেনার বিল থাকা জরুরি। ওই বিলে গয়নায় থাকা সোনার পরিমাণ, তার শুদ্ধতা (ক্যারাট), হলমার্কের ছাপ লাগানোর খরচ এবং জিএসটির পরিমাণ উল্লেখ থাকতে হবে।’’ শুধু হলমার্ক দেওয়া গয়নার ক্ষেত্রেই ক্রেতা ওই সুবিধা পাবেন বলে জানান পাল।
এ দিকে গয়নায় হলমার্ক ছাপ দেওয়ার কেন্দ্র খোলার জন্য লাইসেন্স ফি কমানোর আর্জি জানিয়েছে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব হলমার্কিং সেন্টার এবং স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটি। তাদের মতে দেশে হলমার্কিং কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ওই ফি কমানো জরুরি।
ঠকে পাওয়া
• হলমার্ক দেওয়া গয়না কিনেও প্রতারিত হলে,পাওয়া যাবে
আর্থিক ক্ষতিপূরণ
• অভিযোগ জানাতে হবে বুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস)-এর কাছে
• সংশ্লিষ্ট বিক্রেতার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যবস্থা করবে বিআইএস
• তবে তার জন্য বিলে থাকতে হবে সোনার পরিমাণ, শুদ্ধতা, জিএসটির অঙ্ক ইত্যাদি
গয়নার দোকানের বার্ষিক আয়ের ভিত্তিতে লাইসেন্স ফি ধার্য করার আর্জি জানিয়েছে ওই দুই সংগঠন। বর্তমানে যে রাজ্যে বা শহরে হলমার্ক কেন্দ্র রয়েছে, সেখানকার জনসংখ্যার ভিত্তিতে ওই ফি ধার্য করা হয়। অনলাইনে লাইসেন্স মঞ্জুর করার দাবিও জানিয়েছে তারা।
হলমার্কিং কেন্দ্রগুলির সংগঠনের সভাপতি হর্ষদ আজমেরা এবং স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি বাবলু দে বলেন, সারা দেশে গয়না বিক্রির ক্ষেত্রে হলমার্ক দেওয়া বাধ্যতামূলক করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বিল এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই বিল আগামী দিনে আইনে পরিণত হলে দেশে হলমার্ক কেন্দ্রের সংখ্যা দ্রুত বাড়াতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy