দূষণ কমাতে যখন বিশ্ব জুড়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে গবেষণা চলছে, তখনই গাড়ি শিল্পের জন্য পরিচিত একের পর এক দেশে দূষণ কেলেঙ্কারিতে জড়াচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। ফলে সামগ্রিক ভাবে গাড়ি শিল্পকে নিয়েই প্রশ্ন উঠছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে ফোক্সভাগেনকে দিয়ে। জার্মান গাড়ি শিল্পের গর্ব এই সংস্থা দূষণ কমিয়ে দেখাতে ডিজেল গাড়িতে বিশেষ সফটওয়্যার বসিয়েছিল বলে খবর সামনে আসে মার্কিন মুলুকে। তার পর থেকে একের পর এক সংস্থার নাম জড়িয়েছে দূষণ কেলেঙ্কারিতে। অভিযোগের কথা স্বীকার করেছে জাপানের মিৎসুবিশি, নিসান। নাম উঠে এসেছে সে দেশেরই সুবারু কর্পোরেশনের। সেই প্রেক্ষিতে ২৩টি গাড়ি সংস্থাকে অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দেয় জাপান সরকার। যার ফল হিসেবেই দূষণ কেলেঙ্কারির তালিকায় শেষ সংযোজন সেখানকার সুজুকি, মাজ়দা এবং ইয়ামাহা। গত সপ্তাহেই যারা কারচুপির কথা মেনে নিয়েছে।
আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের গাড়ি সংস্থার সঙ্গে টক্কর নেয় চিন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এশিয়ার নানা দেশের নির্মাতারা। খুব একটা পিছিয়ে নেই ভারতও। বিশ্ব উষ্ণায়নের আবহে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে চর্চা চলছে সর্বত্র। সে ক্ষেত্রে পরিবেশ বান্ধব গাড়ি আনতে সংস্থাগুলির হাতিয়ার বৈদ্যুতিক গাড়ি। কিন্তু এখনও বিশ্বের অধিকাংশ গাড়ি চলে পুরোদস্তুর পেট্রল বা ডিজেলে। আর সেখানেই একের পর এক সংস্থার এ ভাবে দূষণ কাণ্ডে নাম জড়়ানোয় প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সংস্থাগুলির পরিচালন ব্যবস্থা স্বচ্ছ কি না, তা দেখা জরুরি। বিশেষ করে ইতিমধ্যেই যেখানে সরতে হয়েছে ফোক্সভাগেন কর্তাকে। জাপানি সংস্থার কর্তারা ক্ষমা চেয়েছেন। এই আবহে দূষণ কাণ্ডের ছায়া গাড়ি শিল্পের উপর থেকে সহজে সরবে না বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy