Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Foreign Trade

বৈদেশিক বাণিজ্যের নয়া নীতি চালু দেশে

নতুন নীতিতে ভারতে বসেই রফতানিকারীরা বিদেশ থেকে পণ্য কিনে অন্য দেশে পাঠাতে পারবেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় রফতানি পণ্য তৈরির অঞ্চল গড়া হবে। রফতানি অঞ্চল হবে জেলাতেও।

A Photograph of trade

পরিবর্তিত নীতিকে স্বাগত জানিয়েছে রফতানিকারীদের সংগঠন। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:০৮
Share: Save:

এক দিকে, রফতানি পণ্য তৈরির কেন্দ্রগুলি বিভিন্ন রাজ্য, এমনকি জেলা স্তর পর্যন্ত ছড়ানো এবং স্থায়ী ভাবে একটি নীতি অনুসরণ। অন্য দিকে, ডলার নির্ভরতা কমাতে টাকায় আমদানি-রফতানি বাড়ানো ও ভর্তুকি তুলে দিয়ে খরচ কমানো। শুক্রবার প্রকাশিত ভারতের নতুন বৈদেশিক বাণিজ্য নীতিতে উঠে এল কেন্দ্রের এই সমস্ত লক্ষ্য। নেট বিপণন বাড়াতে তাকে বৈদেশিক বাণিজ্যের সব সুবিধা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

নীতি চালু করে শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন, “দেশে শিল্পোন্নয়নের প্রেক্ষিতে ২০৩০-এর মধ্যে রফতানির লক্ষ্য ২ লক্ষ কোটি ডলার। যা এখন ৭৬,৫০০ কোটির আশেপাশে।’’ এ বার বিশ্বের অন্যতম দ্রুতগামী বাইক হার্লে ডেভিডসনের গতিতে এই বাণিজ্য এগোবে বলেও মন্তব্য তাঁর।

পরিবর্তিত নীতিকে স্বাগত জানিয়েছে রফতানিকারীদের সংগঠন। ফিয়োর সভাপতি এ শক্তিভেল বলেন, “এটি রফতানি ও শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি সেগুলি পরিচালনার কাজ সহজ করবে।’’ এঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অরুণ কুমার গারোদিয়ারও দাবি, “আগে নীতি আসত পাঁচ বছর অন্তর। এ বার তা ভবিষ্যতেও চালু থাকবে। বদলাবে প্রয়োজনে। এতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা সুবিধাজনক হবে।’’ শিল্পের মতে, নীতিটি বাস্তবসম্মত। বিশ্ব বাজারে দখল বাড়ানোর উপযোগী।

নতুন নীতিতে ভারতে বসেই রফতানিকারীরা বিদেশ থেকে পণ্য কিনে অন্য দেশে পাঠাতে পারবেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় রফতানি পণ্য তৈরির অঞ্চল গড়া হবে। রফতানি অঞ্চল হবে জেলাতেও। গারোদিয়া জানান, রাজ্যে এ জন্য ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে হাওড়া (এঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের) এবং দার্জিলিং (চা শিল্পের)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Foreign Trade Import Export
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE