জিএসটি সংস্কারের হাত ধরে দেশের অর্থনীতিতে ২ লক্ষ কোটি টাকা ঢুকবে, জানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। দাবি করলেন, এতে পণ্যের দাম কমানোয় ক্রেতার হাতেও কেনাকাটার জন্য বাড়তি অর্থ থাকবে। এ দিনই জিএসটির সংশোধিত হার কার্যকর করা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে অর্থ মন্ত্রক। আগামী সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর তা চালু হচ্ছে দেশে। তার আগে বিষয়টি নিয়ে প্রচারে বেরিয়ে বুধবার এক অনুষ্ঠানে পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে কটাক্ষ করেন নির্মলা। ইউপিএ আমলের কর কাঠামোকে ‘কর সন্ত্রাসের’ জমানা আখ্যা দেন। বলেন, “ইউপিএ সরকার জিএসটি চালু করতে পারেনি। রাজ্যগুলির মধ্যে ঐকমত্য তৈরিতে ব্যর্থ হয়। আমি এর কঠিন রাজনৈতিক জবাব দিতে পারতাম। কিন্তু এখন দেব না।’’
নির্মলা জানান, ১২% হারের আওতায় থাকা ৯৯% পণ্যেই ক্রেতাকে ৫% কর দিতে হবে। ২৮% করের ৯০ শতাংশে জিএসটি ১৮%। তাঁর দাবি, জিএসটি সংশোধনের জন্য কেন্দ্র মাথায় রেখেছিল গরিব-মধ্যবিত্তের করের বোঝা কমানো, মধ্যবিত্তের আশাপূরণের ব্যবস্থা, কাজ তৈরি ও রফতানি বাড়াতে ছোট শিল্পকে সাহায্য।
এ দিন কর বিশেষজ্ঞদের দাবি, জিএসটির সংশোধনের জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তি অনেক বিষয়ে ধন্দ দূর করবে। বণিকসভা বেঙ্গল চেম্বারের কর সংক্রান্ত পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেক জালান অবশ্য বলেন, ‘‘সবেমাত্র বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছে। খুঁটিয়ে দেখার আগে মন্তব্য করা ঠিক নয়। তবে জিএসটি চালু হওয়ার সময় করের হার এবং করছাড় নিয়ে দু’টি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। গত আট বছর ধরে আইনের সব সংশোধন (প্রায় ১০০টি) হয়েছে ওই দু’টিরই ভিত্তিতে। ফলে জটিলতা অনেকখানি বেড়ে যায়। এ বার নতুন করে দু’টি বিজ্ঞপ্তি জারির ফলে পুরো বিষয়টিই গোড়া থেকে শুরু হবে। এতে আইনটি বোঝাও সহজ হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)