নিতিন গডকড়ী।
হয় কাজ করতে হবে, নইলে বাধ্যতামূলক অবসরের জন্য তৈরি থাকতে হবে। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের কর্তাদের কার্যত চাঁছাছোলা ভাষায় এই হুঁশিয়ারি দিলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী।
মন্ত্রকের এক অনুষ্ঠানে সম্প্রতি গডকড়ী বলেন, দিনের পর দিন ফাইল ফেলে রাখা চলবে না। তিন দিনের মধ্যে তা নিয়ে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কোনও ভাবেই লাল ফিতের ফাঁস বরদাস্ত করা হবে না। বলেন, খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও কাজ না-করলে অবসর দেওয়ার পক্ষে।
ক’দিন আগে গডকড়ী বলেছিলেন, তাঁর মন্ত্রকের কাজ না-করতে চাওয়া কিছু কর্তা রয়েছেন, যাঁরা ‘ডেড অ্যাসেট’। তাঁরা না নিজেরা কাজ করেন, না অন্যদের করতে দেন। আর এই কারণে ফাইল ছাড়পত্র পায় না। ফলে কাজও আটকে যায়। যা আর মেনে নেওয়া হবে না। ওই সব কর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
মন্ত্রীর কথায়, ‘‘যে সব মানুষ সিদ্ধান্ত নেন, তাঁদের আমি পছন্দ করি। কোনও ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ভুল হতে পারে, তা অপরাধ নয়। কিন্তু মাসের পর মাস বা বছরের পর বছর ধরে ফাইল জমতে দেওয়া চলবে না।’’ মন্ত্রকের যে সমস্ত কর্তার বিরুদ্ধে কাজ না-করার অভিযোগ রয়েছে, বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার জন্য তাঁদের নামের তালিকাও চেয়ে পাঠিয়েছেন গডকড়ী। তাঁর মতে, এ ভাবে কাজ করতে পারলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ (এনএইচএআই) এবং মন্ত্রকের পারফরম্যান্স ভাল হবে।
গড়কড়ী বলেন, সড়ক পরিকাঠামোয় ৩০ বছরের ঋণ চালুর জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নরের কাছেও আর্জি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে সড়ক সচিব সঞ্জীব রঞ্জন, এনএইচএআই চেয়ারম্যান এস এস সাঁধু এবং সড়ক প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহকে প্রকল্প সরেজমিনে খতিয়ে দেখার কথাও বলা হয়েছে। তাঁর দাবি, পরিকাঠামো তৈরির পাশাপাশি যাত্রী সুরক্ষার বিষয়টিও জোর দেবে কেন্দ্র। সময়ে সিদ্ধান্ত না-নেওয়া, প্রকল্পের সবিস্তার রিপোর্টে ভুল থাকা বা রাস্তার তৈরির ক্ষেত্রে ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সুরক্ষার নিশ্চিত না-করা গেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy