Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Fertilizer

সারের দাম বৃদ্ধি রদ, বৈঠক ডেকে নির্দেশ কেন্দ্রের

চাষের খরচ অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ চাষিরা।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২১ ০৫:১২
Share: Save:

বিশ্ব বাজারে কাঁচামালের দাম চড়া হওয়ার যুক্তিতে সম্প্রতি দেশে বিপুল হারে দাম বাড়ানো হয়েছে ইউরিয়া মুক্ত বিভিন্ন সারের। এ জন্য মোদী সরকারকে ‘কৃষক বিরোধী’ তকমা দিয়ে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। এই অবস্থায় শুক্রবার সার সংস্থাগুলিকে কেন্দ্রের নির্দেশ, সেগুলির সর্বোচ্চ খুচরো দাম বা এমআরপি বাড়ানো যাবে না। ডি-অ্যালুমিনিয়াম ফসফেট (ডিএপি), মুরিয়েট অব পটাশ (এমওপি) এবং এনপিকে-র মতো ইউরিয়া মুক্ত সার বিক্রি করতে হবে পুরনো দামেই। কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন এবং পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের মরসুমে সার নিয়ে সরকারের এই ফরমান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। বিশেষ করে ডিজেলের দাম চড়ার পরে ইফকোর মতো সমবায় সারের দাম বিপুল বাড়ানোয় কৃষকেরা যে চরম সঙ্কটে পড়বেন, সেই আশঙ্কা তুলে ইতিমধ্যেই সমালোচনায় মুখর হয়েছে অনেকে।

ডিএপি, এমওপি এবং এনপিকের দাম এখন সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত। তা স্থির করে উৎপাদক সংস্থাগুলি। কেন্দ্র শুধু প্রতি বছর তাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ভর্তুকি হিসেবে দেয়। সার সংস্থা এবং সমবায়গুলির দাবি, বিশ্ব বাজারে কাঁচামালের দাম বিপুল হারে বাড়ায় দেশের খুচরো বাজারে ডিএপি এবং অন্যান্য সারের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে তারা। কিন্তু এতে চাষের খরচ অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ চাষিরা।

রাসায়নিক এবং সার প্রতিমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছেন, ‘‘সরকার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছিল। সেখানে সংস্থাগুলিকে ডিএপি, এমওপিএবং এনপিকে-র দাম না-বাড়াতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংস্থাগুলিও তাতে রাজি। কৃষকেরা ওই সব ইউরিয়া মুক্ত সার বর্তমান দামেই পাবেন।’’

তবে আজই সারের দাম নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। সারের দাম বৃদ্ধিকে ‘কৃষক বিরোধী’ পদক্ষেপ তকমা দিয়ে কর্নাটকের বিরোধী দলনেতার টুইট, ‘‘এ ভাবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কৃষক সমাজকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। কৃষক বিরোধী আইন এনে তাঁদের সঙ্কটে ফেলার পরে এ বার কেন্দ্র চাষের খরচ বাড়াচ্ছে।’’ আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় কাঁচামাল ও সারের চড়া দামের যুক্তিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেছেন তিনি। মাণ্ডব্যের পাল্টা টুইট, ‘‘কৃষক সমাজের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েই সারের দাম না-বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

সার সমবায় ইফকো তাদের নতুন জোগানের প্রতি বস্তার উপরে বর্ধিত দাম ১৭০০ টাকা লিখলেও, তাদের মুখপাত্রের দাবি ওটা সম্ভাব্য দাম। কৃষকদের বিক্রির দর নয়। তাঁর দাবি, ১১.২৬ লক্ষ টন পুরনো মজুত তারা আগের মতো ১২০০ টাকা প্রতি বস্তা হিসেবেই বেচবে। তবে আগামী দিনে নতুন জোগানও একই দাম চাষিরা পাবেন কি না, তা স্পষ্ট বোঝা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Farmers Fertilizer
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE