Advertisement
E-Paper

এখন আলোচনা জারি মাসুল বাড়ানো নিয়েও

টেলি শিল্পের একাংেশর দাবি, গ্রাহক তাঁর প্রয়োজন ও পছন্দ অনুযায়ী পরিষেবা বেছে নেবেন। পাশাপাশি তাদের আশা, জিও-র এই পদক্ষেপ মাসুল-যুদ্ধ শেষের ইঙ্গিত।

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৭ ০২:২৭

শুরুতে নিখরচায় পরিষেবা। তার পরে মাসুল নিলেও তা প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় অনেক কম। দু’দফায় বিতর্কের পরে এ বার নতুন করে তা ফের মাথাচাড়া দিয়েছে রিলায়্যান্স জিও-র সাম্প্রতিক মাসুল বাড়ানোর ঘোষণার পরেও! প্রায় সপ্তাহ গড়াতে চললেও যাতে জল পড়ার তেমন লক্ষণ নেই। অনেকের প্রশ্ন, জলের দরে ‘ডেটা’ বেচে মুঠোয় ধরা ফোনেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে খেলা, টিভি সিরিয়াল বা সিনেমা দেখার চাহিদায়
নতুন করে ইন্ধন জুগিয়েছিল জিও। এখন তাদের কিছু ‘প্ল্যান’-এর দাম বাড়ায় চর্চা শুরু হয়েছে যে, ভারতের গ্রাহক মহলে কি তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে? সত্যিই পকেট বাঁচাতে ডেটা ব্যবহার কমাবেন গ্রাহকরা? না কি অধিকাংশের ক্ষেত্রে তা আটকে থাকবে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া জায়গাতেই?

টেলি শিল্পের একাংেশর দাবি, গ্রাহক তাঁর প্রয়োজন ও পছন্দ অনুযায়ী পরিষেবা বেছে নেবেন। পাশাপাশি তাদের আশা, জিও-র এই পদক্ষেপ মাসুল-যুদ্ধ শেষের ইঙ্গিত। শীঘ্রই তার হারে স্থিরতা আসবে। তাতে আখেরে টেলি শিল্পই আর্থিক ভাবে চাঙ্গা হবে।

নিখরচায় বা অল্প খরচে যে বেশি দিন জিও-র পরিষেবা মিলবে না, তা নিয়ে জল্পনা থাকলেও, কখন দাম বাড়বে সেটাই ছিল মূল প্রশ্ন। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি ছিল, তাদের বেশিরভাগ গ্রাহকেরই প্রথম নম্বর জিও-র নয়। তাই খরচ বাড়লে তাঁদের কতটা ধরে রাখা যাবে, তা চর্চার বিষয়।

সিওএআই-এর ম্যাথুজ অবশ্য দিল্লি থেকে ফোনে বলেন, ‘‘সারা বিশ্বেই এমন চল রয়েছে। যেমন অনেক ক্ষেত্রেই প্রথমে বিনামূল্যে কিছু দিন গান শোনা বা সিনেমা দেখার সুযোগ মেলে। ফলে জিও দাম বাড়ালেই গ্রাহকদের বিশ্বাসভঙ্গ হবে, তা না-ও হতে পারে।’’ তাঁর দাবি, বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়া নয়, জিও-র সঙ্গে অন্য সংস্থাগুলির বিরোধ ছিল, প্রতিযোগিতার বাজারে তা কত দিন দেওয়া উচিত তা নিয়েই।

তাঁর কথায়, ‘‘ফোনে কথা বলার খরচের একটা ধারণা থাকে। কিন্তু ডেটা ব্যবহার নিয়ে সকলের ধারণা ছিল না। জিও-র গ্রাহকেরা বিনামূল্যে পরিষেবা ব্যবহারের সময়ে
চাহিদা সম্পর্কে অভ্যস্ত হয়েছেন। এখন তাঁরা বাজেট অনুযায়ী পরিষেবা বাছতে পারেন। আর দাম বাড়লেও, দেশে নেটের খরচ এখনও অনেক কম।
ফলে গ্রাহককে তা ধাক্কা দেবে না।’’ তাঁর বক্তব্য, জিও-র লাইসেন্সের মেয়াদ ২০ বছরের। ইতিমধ্যেই সাত বছর অতিক্রান্ত। ফলে বাকি সময়ে শুধু গ্রাহক সংখ্যা বাড়ালেই হবে না, আয় ও মুনাফাও বাড়াতে হবে। তাই বেশি দিন সস্তায় পরিষেবা দেওয়া তাদের পক্ষেও সম্ভব নয়।

telecom expenditure Increase Jio
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy