Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

সব জমিদাতাকে কাজের আশ্বাস জিন্দলদের

জমিদাতা পরিবারের অন্তত একজনের কাজের ব্যবস্থা করা হবেই— সিমেন্ট কারখানা উদ্বোধনের এক দিন আগে শালবনিতে এসে এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন সজ্জন জিন্দলের পুত্র পার্থ জিন্দল।

বার্তা: শালবনিতে পার্থ জিন্দল। রবিবার। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

বার্তা: শালবনিতে পার্থ জিন্দল। রবিবার। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

বরুণ দে
শালবনি শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:২৯
Share: Save:

জমিদাতা পরিবারের অন্তত একজনের কাজের ব্যবস্থা করা হবেই— সিমেন্ট কারখানা উদ্বোধনের এক দিন আগে শালবনিতে এসে এমনই প্রতিশ্রুতি দিলেন সজ্জন জিন্দলের পুত্র পার্থ জিন্দল।

রবিবার তাঁর দাবি, “আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিই, তা রাখি। জমিদাতা পরিবারের একজনকে কাজ দেবই।” তিনি জানান, ইতিমধ্যে জমিদাতা পরিবারের ১৫০ জনের কাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ধাপে ধাপে বাকিদেরও কাজের ব্যবস্থা করা হবে। শালবনিতে ৮০০ কোটি টাকা লগ্নিতে সিমেন্ট কারখানা গড়া হয়েছে। এখন বছরে ২৪ লক্ষ টন সিমেন্ট উত্পাদন হবে। কারখানা পুরোদমে চালু হওয়ার পরে উত্পাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করার কাজও শুরু হওয়ার কথা।

আজ, সোমবার জিন্দলদের সিমেন্ট কারখানার উদ্বোধন করতে শালবনিতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন সজ্জন জিন্দলও। ঘোষণা সত্ত্বেও ইস্পাত প্রকল্প না হওয়ায় শালবনিতে অসন্তোষ রয়েছে। তা মেনে এ দিন পার্থ বলেন, “কাঁচামালের সমস্যায় ইস্পাত প্রকল্প করা যায়নি। ইস্পাত প্রকল্প না হওয়ায় একটা অসন্তোষ রয়েছে। তবে সিমেন্টের পরে আমরা এখানে বিদ্যুৎ উত্পাদন কেন্দ্র, রং কারখানা করব।” সজ্জন-পুত্রের সংযোজন, “রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সব রকম সহযোগিতা করেছেন।”

পাশাপাশি, শালবনি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্বও তাঁরা নিতে চলেছেন বলে জানান পার্থ। তাঁর কথায়, “রাজ্য সরকার এই দায়িত্ব নিতে বলেছে।”

রবিবার বিকেলে শালবনিতে আসেন পার্থ। সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, জমিদাতা পরিবারগুলোর কাজের দাবির কথা তাঁর অজানা নয়। পার্থের কথায়, “প্রকল্পের জন্য ৪৯২ জন জমি দিয়েছেন। কাজ চেয়ে ৩০০ জন আবেদন করেছেন। তবে আমরা ৪৯২ জনকে কাজ দিতেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

শালবনিতে কৃষি খামার এবং ফুটবল একাডেমি গড়ার কথাও জানান পার্থ। কৃষি খামারে ফল, আনাজ চাষ হবে। যুক্ত করা হবে জমিদাতাদের। আর ফুটবল অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন এলাকার ফুটবলাররা।

২০১৬-র ৬ জানুয়ারি শালবনিতে সিমেন্ট কারখানার শিলান্যাস করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’বছরের মাথায় কারখানা উদ্বোধন হতে চলেছে।

এ দিকে পার্থ জানান, বিনানি সিমেন্ট ও বিহারের কল্যাণপুর সিমেন্ট কিনতে দরপত্র দেবে জিন্দলরা। ঋণের ভারে জেরবার এই দুই সংস্থাই দেউলিয়া আইনের আওতায় জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইব্যুনালে রয়েছে। উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত। বিনানি যে ১.১ কোটি টন সিমেন্ট উৎপাদন করে তার মধ্যে ৬০ লক্ষ টন এ দেশে, বাকিটা বিদেশে তৈরি হয়।

প্রায় এক দশক আগে ২০০৭ সালে জিন্দল প্রকল্প ঘিরে স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছিল শালবনিতে। ২০০৮-এর ২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে ইস্পাত প্রকল্পের শিলান্যাস হয়। তখন জিন্দল গোষ্ঠীর ঘোষণা ছিল, ২০১৩-র মধ্যে প্রথম পর্যায়ের উত্পাদন শুরু হয়ে যাবে। বাজার না থাকায় ইস্পাত প্রকল্প স্থগিত হয়ে যাওয়ার পরে সিমেন্ট কারখানা গড়া শুরু হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE