মাঝে দু’দিন থমকে থাকলেও, তেলের আরও দামি হওয়ার আশঙ্কা স্বস্তি দেয়নি দেশকে। আশঙ্কা সত্যি করেই শুক্রবার আরও চড়া হল পেট্রল-ডিজেলের দাম। কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে লিটারে ১৯ পয়সা বেড়ে পেট্রল দাঁড়াল ৯৩.১১ টাকা। আর ২৯ পয়সা বেড়ে ৮৬.৬৪ টাকা হল ডিজেল। পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যে ভোট শেষ হওয়া ইস্তক লাগাতার বৃদ্ধির হাত ধরে তিন সপ্তাহেরও কম সময়ে পেট্রল ২.৪৯ টাকা দামি হয়েছে। ডিজেল ৩.০৩ টাকা।
সংশ্লিষ্ট মহলের ক্ষোভ, সংক্রমণ এবং প্রিয়জনের মৃত্যু যন্ত্রণা সইতে সইতে যখন গোটা দেশ বিধ্বস্ত আর ক্লান্ত, যে সময় রুজি-রোজগার হারিয়ে আরও বহু মানুষ আর্থিক সঙ্কটে ডুবেছেন, তখন তেলের দাম বৃদ্ধি মানুষকে আরও বিপর্যস্ত করছে। পরিবহণ শিল্পের একাংশ আবার বিশ্ব বাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম দেখিয়ে দাবি করছে, সম্প্রতি তা ব্যারেল পিছু ৬৮ ডলার পেরোলেও এখন কমে প্রায় ৬৫ ডলার। যে অশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধিকে পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ার জন্য দায়ী করে সরকার।
স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখার রিপোর্টে সম্প্রতি হঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, সরকার তেলে কর ছেঁটে দাম না-কমালে অর্থনীতিরই বিপদ। চিকিৎসা, তেলের মতো অত্যাবশ্যক পণ্যের খরচ সামলাতে গিয়ে অন্যান্য জিনিস কম কিনবেন মানুষ। মূল্যবৃদ্ধি মাথা তুলবে, আবার চাহিদাও কমে গিয়ে আর্থিক বৃদ্ধির পথ আটকাবে।