করোনা হানার ঠিক পরেই লগ্নিকারীরা সোনার সুরক্ষাকে এমন জাপটে ধরেন যে, দাম বাড়ে হু হু করে। ১০ গ্রাম পাকা সোনা (২৪ ক্যারাট) ৫৮,০০০ টাকা (জিএসটি ধরে) পেরনোর ফলে গয়নার সোনাও আরও চড়ায় যাঁরা ওই বাজার থেকে চুপচাপ সরে আসার পথ নিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই অপেক্ষায় ছিলেন ধনতেরসের। বিশেষত মাস খানেক ধরে সোনাকে ৫০-৫১ হাজারের আশেপাশে থমকে থাকতে দেখে। একই কারণে ছন্দে ফেরার আশায় স্বর্ণশিল্প। আগের মতো ক্রেতাদের ভিড় দেখতে গয়না ব্যবসায়ীদের চোখও আগামী সপ্তাহের ধনতেরসের দিকে। ক্রেতা টানতে তাঁরা আনছেন ছাড়-সহ হাজারও সুবিধা। কিন্তু ফের এক টুকরো সিঁদুরে মেঘ আশঙ্কা বাড়াল। শুক্রবার শহরে পাকা সোনা জিএসটি ধরে ৭৬২ টাকা বাড়ল এবং ছুঁয়ে ফেলল ৫৪,৬১০ টাকা।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের আশঙ্কা, যে চাহিদা শূন্য থেকে মাথা তুলে বাড়ার পথ নিয়েছে, ফের সোনার দৌড় তা বহাল থাকতে দেবে তো? স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমটির কার্যকরী সভাপতি বাবলু দে এবং পিসি চন্দ্র গোষ্ঠীর ডিরেক্টর উদয় চন্দ্র অবশ্য বলছেন, চাহিদা ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০% ছুঁয়েছে। ধনতেরস উপলক্ষে আরও ১৫% বাড়ার আশা। তাঁদের দাবি, হালে সোনার দাম কিছুটা কমায় অনেকে ডিসেম্বর বা জানুয়ারির বিয়ের জন্য গয়নার আগাম বরাত দিয়ে রাখছেন। দোকানগুলিও সেই ফাঁকে মোট দামের ৮০% আগাম হাতে পাচ্ছে।
তবে ভারতে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের এমডি সোমসুন্দরম পিআর-এর মতে, করোনা না-গেলে অর্থনীতির হাল ফিরবে না। আর তা না-ফেরা পর্যন্ত গয়নার চাহিদাতেও স্থিতিশীলতা আসার সম্ভাবনা কম। তিনি বলেন, ‘‘ধনতেরসে চাহিদা ফিরতে শুরু করলেও, তাতে গতি আসতে গড়াতে পারে চতুর্থ ত্রৈমাসিক (জানুয়ারি-মার্চ)।’’ কিন্তু দাম না-কমলে সেটা কতটা সম্ভব, প্রশ্ন তুলছেন গয়না শিল্পেরই একাংশ। যদিও সোনার দাম ফের বাড়ায় খুশি তাতে লগ্নিকারীরা।