এক লক্ষের মাইলফলক পেরিয়েছিল আগেই। এ বার আরও বাড়ছে রুপোর দাম। শনিবারের তুলনায় ৫০০ টাকা বেড়ে সোমবার প্রতি কেজি রুপোর বাটের দাম দাঁড়িয়েছে ১,০৬,২৫০ টাকা। খুচরো রুপো ১,০৬,৩৫০ টাকা। এর আগে কখনও এত বেশি উচ্চতায় পৌঁছয়নি ধাতুটির দাম। জিএসটি ধরে দর যথাক্রমে ১,০৯,৪৩৭.৫ টাকা এবং ১০৯,৫৪০.৫ টাকা। সোনার দাম অবশ্য এ দিন সামান্য কমেছে। ২৪ ক্যারাট ১০ গ্রাম খুচরো পাকা সোনা হয়েছে ৯৬,৭০০ টাকা। আগের দিনের তুলনায় তা ৫০ টাকা কম। গয়নার সোনা (২২ ক্যারাট ১০ গ্রাম) দাঁড়িয়েছে ৯১,৯০০ টাকা। কর নিয়ে অবশ্য দাম কিছুটা বেশি।
সোনা ব্যবসায়ী মহলের বক্তব্য, বর্তমানে সারা বিশ্বে ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি, শুল্ক যুদ্ধ এবং দুর্বল ডলারের প্রভাব গত কয়েক মাস ধরেই পড়ছে সোনা-রুপোর দামে। তার উপরে মূল্যবৃদ্ধির ঝুঁকি কমা, বিভিন্ন শিল্পে তার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়াই ঠেলে তুলছে রুপোর দরকে। আর এই চড়া দামের জেরে সাধারণ মানুষ একান্ত প্রয়োজন না পড়লে সোনা-রুপোর গয়না কেনার কথা ভাবছেন না বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। এর আগে সোনার নাগাল না পেয়ে রুপোর দিকে হাত বাড়াতেন একাংশ ক্রেতা। কিন্তু রুপোর দাম যে জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, তাতে সেই দিনও আর নেই।
বর্তমান দামেই সোনা-রুপোর বিক্রি কমেছে। এই অবস্থায় দাম কি আগামী দিনে আরও বাড়বে, সেই প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সব মহলকে। ওয়েস্ট বেঙ্গল বুলিয়ন মার্চেন্টস অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা দীনেশ কাবরার বক্তব্য, ‘‘সাধারণ ভাবে সোনার দাম বৃদ্ধির অনুপাতে রুপোর দরও বাড়ে। সেই অনুসারে সোনার দাম যে ভাবে বেড়েছে, তাতে রুপোর দাম আরও বাড়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। ফলে এখন ধাতুটির দাম যা বাড়ছে, তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই। বরং আমাদের আশঙ্কা, দাম আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)