মোবাইলে কথা বলার সময় মাঝপথে সংযোগ কাটার (কল-ড্রপ) জন্য ট্রাইয়ের দেওয়া ক্ষতিপূরণের নির্দেশের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছে টেলিকম শিল্প। সেই মামলার পরের শুনানি হওয়ার কথা ৬ জানুয়ারি। তার আগে টেলিকম সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না-নেওয়ার কথা আদালতকে মঙ্গলবার জানিয়ে দিল টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই।
তবে আগের ঘোষণা মেনে আগামী ১ জানুয়ারি থেকেই ওই নিয়ম কার্যকর করার কথাও আদালতকে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক। সংশ্লিষ্ট শিল্পমহলের বক্তব্য, সে ক্ষেত্রে ১ থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কল কাটার ক্ষেত্রে তার ক্ষতিপূরণের হিসেব কষা হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। আদালতের নির্দেশের কপি তারা পায়নি।
সংবাদ সংস্থার খবর, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল পি এস নরসিংহ এ দিন দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি রোহিনী এবং বিচারপতি জয়ন্ত নাথের বেঞ্চের কাছে জানান, ১ জানুয়ারি থেকেই নিয়ম কার্যকর হবে। কিন্তু তা না-মানলে, ৬ জানুয়ারির আগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে না ট্রাই। নরসিংহের দাবি, ওই নিয়মের কোনও প্রভাব এখনই পড়বে না। কারণ, গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট সংস্থার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা মাসের শেষে।
তা হলে ১ থেকে ৬ জানুয়ারির মধ্যে ক্ষতিপূরণের হিসেব হবে কি? এ বিষয়ে ট্রাই চেয়ারম্যান মন্তব্য করতে চাননি। এইউএসপিআই-এর সেক্রেটারি জেনারেল অশোক সুদ দিল্লি থেকে ফোনে বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশের কপি এখনও পাইনি। বিষয়টি স্পষ্ট নয়।’’
চলতি বছরে কল-কাটার সমস্যায় গ্রাহকদের ভোগান্তি হয়েছে বিস্তর। আলোচনা গড়িয়েছে সংসদ পর্যন্ত। অভিযোগ, টেলি পরিষেবা সংস্থাগুলি উপযুক্ত পরিকাঠামো না গড়াতেই এই বিপত্তি। উল্টো দিকে, টেলিকম শিল্পের পাল্টা দাবি, অপর্যাপ্ত স্পেকট্রামের পাশাপাশি টাওয়ার বসাতে বাধার জন্যই সমস্যা তৈরি হয়েছে পরিকাঠামো নির্মাণে।
এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরে সম্প্রতি ট্রাই জানায়, যে সংস্থার সংযোগ থেকে ফোন করা হবে, তার সমস্যার জন্য কল কাটলে প্রতিটি ক্ষেত্রে গ্রাহককে এক টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। তবে এক জন গ্রাহক দিনে তিন বারের বেশি (দিনে ৩ টাকা) তা পাবেন না। এই নির্দেশ বাতিলের দাবিতেই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল টেলি শিল্পের দুই সংগঠন সিওএআই এবং এইউএসপিআই। আদালতে গিয়েছে ২১টি সংস্থাও। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এ দিন দিল্লি হাইকোর্টকে ৬ তারিখ পর্যন্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চালু না করার কথা জানিয়েছে ট্রাই।