পিইএসবি চেয়ারম্যান রাজীব কুমার।—ছবি সংগৃহীত।
কৌশলগত ক্ষেত্রে চারটির বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা না-রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। বাকিগুলির হয় সংযুক্তিকরণ নয়তো বেসরকারিকরণ হবে। তবে বাজারে চাহিদার টানে বেসরকারি সংস্থাগুলি যখন বিনিয়োগে হাত গুটিয়ে রয়েছে, তখন অর্থনীতির চাকা চালু রাখার জন্য ডাক পড়ছে সেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিরই। শনিবার পাবলিক সার্ভিসেস সিলেকশন বোর্ডের (পিইএসবি) চেয়ারম্যান রাজীব কুমার জানান, দেশে যে ২৫০টি কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা রয়েছে তারা বছরে রাজকোষে প্রায় ৩.৬৮ লক্ষ কোটি টাকা দেয়। তারা পুঁজি সংগ্রহ ও লগ্নির মাধ্যমে জিডিপি ২%-৩% বাড়াতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে আত্মনির্ভর ভারত গড়ার ক্ষেত্রে।
ওয়াকিবহাল মহল মনে করাচ্ছে, শুধু করোনার সময়ে নয়, গত প্রায় পাঁচ-ছ’বছর ধরেই বেসরকারি সংস্থাগুলি নতুন বিনিয়োগের ব্যাপারে যথেষ্ট রক্ষণশীল। সেই সময়ে বরং কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি পুঁজি ঢালার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যে কারণে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তাদের যে লগ্নির পরিকল্পনা রয়েছে, তার অন্তত ৫০% সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেরে ফেলতে হবে। যাতে করোনার দুর্বিপাকে পড়া অর্থনীতিকে ফের ঘুরিয়ে দাঁড় করানো যায়। এ দিন রাজীবের মুখে কার্যত সেই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল।
আজ রাজীব জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির উঁচু পদে নিয়োগের পদ্ধতি আরও বেশি স্বচ্ছ করতে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে পাবলিক সার্ভিসেস সিলেকশন বোর্ড। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মতামত চাওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy