ঘোষণা: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে। পিটিআই
আর্থিক বৃদ্ধিতে শামুক-গতি। অথচ খুচরো মূল্যবৃদ্ধি পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ। এই অবস্থায় মূল্যবৃদ্ধিকে জুঝতে প্রত্যাশিত ভাবেই চলতি অর্থবর্ষের শেষ ঋণনীতিতে রেপো রেট (যে সুদের হারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে স্বল্পমেয়াদে ঋণ দেয়) অপরিবর্তিত রাখল শীর্ষ ব্যাঙ্ক (৫.১৫%)। এই নিয়ে টানা দু’বার। তবে বৃদ্ধির চাকায় গতি আনতে সুদ না-ছেঁটেও ব্যাঙ্কগুলির তহবিল জোগাড়ের খরচ কমানোর রাস্তা খুলে দিয়েছে তারা। যাতে কম সুদে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঋণ দেওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার ঋণনীতি ঘোষণার পরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের বক্তব্য, ‘‘ভারতের অর্থনীতি যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, তা কাটিয়ে বৃদ্ধিতে গতি আনতে শীর্ষ ব্যাঙ্কের হাতে সুদ কমানো ছাড়াও অনেক অস্ত্র রয়েছে।’’ এ দিন ঠিক সেটাই করেছে ছয় সদস্যের ঋণনীতি কমিটি।
কী ভাবে? প্রতিটি ঋণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পুঁজি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘরে সরিয়ে রাখতে হয় বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে। এখন সেই হার ৪%। এই বিধিতেই সাময়িক ছাড় দিয়ে ঋণদাতাদের হাতে বাড়তি পুঁজি পৌঁছে দিতে চেয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। জানিয়েছে, বাড়ি, গাড়ি ও ছোট-মাঝারি ব্যবসাকে ঋণ দিতে আপাতত জুলাই পর্যন্ত ওই অংশ সরিয়ে রাখতে হবে না ব্যাঙ্কগুলিকে। শুধু তা-ই নয়, আবাসন শিল্পকে প্রকল্পের ঋণ পুনর্গঠনের জন্য বাড়তি এক বছর সময় দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পে দেরি হওয়ার ব্যাপারে প্রোমোটারের হাত না-থাকলে সেই সুযোগ দু’বছর।
এ দিন রেপো রেটে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে এক বছর ও তিন বছর মেয়াদে ঋণ (মোট ১ লক্ষ কোটি টাকা) দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। শীর্ষ ব্যাঙ্কের বক্তব্য, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি কম খরচে তহবিল জোগাড় করতে পারলে, তবেই কম সুদে ঋণ দিতে পারবে। সে কারণেই এই প্রকল্প।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আর্থিক বৃদ্ধি শ্লথ হওয়া সত্ত্বেও মূল্যবৃদ্ধি যেখানে পৌঁছেছে, সেখানে দাঁড়িয়ে সুদ ছাঁটার উপায় ছিল না শীর্ষ ব্যাঙ্কের। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিজেও এ দিন ইঙ্গিত দিয়েছে, স্বল্পমেয়াদে পরিস্থিতির উন্নতির তেমন সম্ভাবনা নেই। তা সত্ত্বেও লগ্নিকারীদের কম সুদে ঋণ পৌঁছে দিতে চেষ্টা করছে তারা। বিশেষ করে ছোট শিল্পে। সুদ ছাঁটাইয়ের দাবি বহাল রেখেও যাকে স্বাগত জানিয়েছে শিল্প মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy