Advertisement
E-Paper

এক মাসে ভুল শোধরান, সিইএসসিকে বলল রাজ্য

সোশ্যাল মিডিয়ায় সিইএসসি-র বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন অঙ্কুশ, যশের মতো টলিউডের অভিনেতারাও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২০ ০৫:২১
বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি

বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি

অস্বাভাবিক চড়া বিদ্যুতের বিল নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভের পারদকে দ্রুত চড়তে দেখে তড়িঘড়ি আসরে নামল রাজ্য। নবান্ন সূত্রের খবর, সরকার সিইএসসিকে ‘অ্যাডভাইজ়রি’ দিচ্ছে। তাতে বলা হচ্ছে, এক মাসের মধ্যে বিলের ভুল সংশোধন করুক সংস্থাটি। এই এক মাস কারও থেকে বিলের টাকা নেওয়া যাবে না। বিল মেটাতে না-পারলে লাইন কাটাও চলবে না। শুক্রবার দুপুরে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও সিইএসসি-র কর্তাদের ডেকে নির্দেশ দিয়েছেন, কী নিয়মে এবং কোন হিসেবে বিদ্যুৎ বিল তৈরি করা হচ্ছে, তার বিস্তারিত ও সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়ে আজ, শনিবারের মধ্যে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে হবে।

সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, আমপানের পরে দীর্ঘ দিন আলো-জল না-ফেরায় রাজ্যের বহু অঞ্চলে পথে নেমেছিলেন বিক্ষুব্ধ মানুষ। অস্বাভাবিক চড়া বিলের অভিযোগ নিয়ে সেই রাগই যেন ফিরে আসছে শহর জুড়ে। ফেসবুক, হোয়াটস্যাপ, টুইটার তো প্রতিবাদে ছয়লাপ বটেই। কিছু জায়গায় মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বলেও খবর। বিদ্যুৎমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ জানাচ্ছেন বহু মানুষ। সূত্রের দাবি, একেই করোনা মানুষের আর্থিক স্বস্তি কেড়েছে। এর মধ্যে বিল নিয়ে অশান্তির আগুন যে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়তে পারে, সেই আশঙ্কা চেপে বসছে সংশ্লিষ্ট মহলে। আমপান থেকে শিক্ষা নিয়ে তাই হয়তো শুরুতেই রাশ ধরতে চাইছে রাজ্য।

এ দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় সিইএসসি-র বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন অঙ্কুশ, যশের মতো টলিউডের অভিনেতারাও। দু’জনেই টুইটারে বিলের ছবি পোস্ট করে প্রশ্ন তোলেন, টাকাটা পাঁচ-ছ’গুণ বেশি হল কী করে? অঙ্কুশের দাবি, “৪০০০ থেকে ২১০০০! ...পোস্ট দেখে সিইএসসি যোগাযোগ করেছিল। কী ভাবে এত বিল এসেছে জানতে চাওয়ায়, ওরা গত বছর ও এ বছর মিলিয়ে মিটার রিডিং অনুযায়ী ব্যাখ্যা দিল, যা বোঝা কঠিন। সত্যি বলতে কী ধোঁয়াশায় আছি।” হাজার তিনেকের বদলে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজারের বিল পেয়েছেন যশ। এমনকি বরাবর আসা শ’খানেকের বিলকে ৮-১০ হাজার হতে দেখার নালিশও মিলছে বিস্তর। তাঁদের প্রশ্ন, যতই গরম পড়ুক আর সকলে ঘরবন্দি থাকুন, এত খরচ হয় কী করে!

আরও পড়ুন: বিদ্যুতের বিল নিয়ে ক্ষোভ শহর জুড়ে, সিইএসসি-র ব্যাখ্যা চাইলেন মন্ত্রী

মন্ত্রীর দাবি, এই সব প্রশ্ন ও ধন্দের জবাব খুঁজতেই বিল নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা, কোন ‘স্ল্যাব’ নেওয়া হচ্ছে, কেন নেওয়া হচ্ছে, তার জন্য টাকা বাড়ল কি না ইত্যাদি জানিয়ে সংবাদপত্রে বড় বিজ্ঞাপন দিতে বলা হয়েছে সংস্থাকে।

সিইএসসি-র অবশ্য বলছে, লকডাউনে দু’মাস মিটার রিডিং না-হওয়ায়, ওই সময় আগের ছ’মাসের গড় প্রভিশনাল বিল পাঠিয়েছিল তারা। সেটা কম। আনলক পর্বে মিটার রিডিং শুরু হয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ খরচের ঠিক হিসেব মিলছে। তাই অনেকের বিল বেশি হচ্ছে। রাজ্যে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সংগঠন অ্যাবেকার দাবি, অন্যায্য ভাবে একাংশকে উঁচু ‘স্ল্যাবে’ ঢুকিয়ে দেওয়াই এর কারণ। সংস্থা অভিযোগ মানতে নারাজ। এ বার সরাসরি নবান্ন হস্তক্ষেপ করায় বিলের ভার কমে কি না বা কমলে কতটা, সেটাই দেখার।

CESC Electricity Bills
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy