গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার একাধিক পদক্ষেপের বার্তা দিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। তার মধ্যে যেমন রয়েছে প্রয়োজনে মেয়াদি জমা থেকে টাকা তোলার পথ আরও সহজ করার নির্দেশ, তেমনই দেওয়া হয়েছে বকেয়া ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে গ্রাহকের হেনস্থা আটকানোর প্রস্তাব। ঋণ শোধের তথ্য জানানো নিয়েও কড়া হয়েছে তারা।
এ দিন আরবিআই বলেছে, এখন থেকে ব্যাঙ্কে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত সমস্ত মেয়াদি আমানত সময়ের আগেই তুলে নেওয়ার সুবিধা মিলবে। এত দিন সেই সীমা ছিল ১৫ লক্ষ। সমস্ত বাণিজ্যিক এবং সমবায় ব্যাঙ্কে নতুন ব্যবস্থা অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে। অনাবাসী ভারতীয়দের এনআরই এবং এনআরও অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। উল্লেখ্য, ভারতে অনাবাসীরা বিদেশে আয় করা বিদেশি মুদ্রা জমা রাখার জন্য এনআরই অ্যাকাউন্ট খোলেন। ভারতে আয় করা অর্থ জমা থাকে এনআরও অ্যাকাউন্টে।
ঋণগ্রহীতাদের সঙ্গে ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির (এনবিএফসি) বকেয়া আদায়কারী রিকভারি এজেন্টদের ব্যবহার নিয়ে নির্দেশিকার খসড়া প্রস্তাবও প্রকাশ করেছে আরবিআই। তাতে রয়েছে, সকাল ৮টার আগে এবং সন্ধ্যে ৭টার পরে বকেয়া আদায়ের জন্য ঋণগ্রহীতাকে ফোন করা যাবে না। মৌখিক বা শারীরিক ভাবে হেনস্থা বা ভয় দেখানো চলবে না। ফোনে বা সামাজিক মাধ্যমে বেনামে বার্তা পাঠানোও বারণ। সংবেদনশীল হয়ে গ্রাহকের সঙ্গে আচরণের প্রশিক্ষণ দিতে হবে রিকভারি এজেন্ট এবং ডাইরেক্ট সেলস এজেন্টদের। আচরণবিধি নিয়ে থাকতে হবে পর্ষদের অনুমোদিত নীতি। ঋণ মঞ্জুর বা কেওয়াইসি ব্যবস্থার মতো বিষয়ে নীতি নির্ধারণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজ ব্যাঙ্ক বা কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাইরের কাউকে দিয়ে করাতে পারবে না, এটাও রয়েছে প্রস্তাবে।
ক্রেডিট ইনফরমেশন কোম্পানি (সিআইসি) অথবা ক্রেডিট ইনস্টিটিউশনগুলিকে (সিআই) নির্দেশ, গ্রাহকের ঋণ শোধ সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য (ক্রেডিট ইনফরমেশন) নথিভুক্তি কিংবা এ সংক্রান্ত তথ্য সংশোধন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না করলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। গ্রাহক ওই তথ্য জানতে আবেদন করার ৩০ দিনের মধ্যে কাজগুলি সারতে হবে। না পারলে ৩০ দিনের পর সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে দিতে হবে ক্ষতিপূরণ, দিন প্রতি যা ১০০ টাকা। ক্ষতিপূরণ না পেলে ওম্বুডসম্যানের কাছে অভিয়োগ জানানোর পথ খোলা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)