অতিমারির সময় অর্থনীতিকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। ঋণ শোধের কিস্তি স্থগিত, ছোট শিল্পকে সুরাহা, ঋণনীতি মারফত সুদ এবং নগদে সুবিধা দেওয়ার মতো নানা পদক্ষেপ করেছিল তারা। বুধবার, ২৭ অগস্ট থেকে আমেরিকার ৫০% আমদানি শুল্ক বসার আশঙ্কায় যখন অস্থির গোটা দেশ, তখন আরবিআই গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্রের বার্তা— শেষ পর্যন্ত এ দেশের অর্থনীতিতে শুল্কের ধাক্কা লাগতে পারে সামান্য। তবুও যদি বস্ত্র, রত্নালঙ্কার, চিংড়ি-সহ কিছু ক্ষেত্র চূড়ান্ত ক্ষতির মুখে পড়ে, তা হলে নির্দিষ্ট ভাবে তাদের আর্থিক সহায়তা দেবে আরবিআই। এই ক্ষেত্রগুলির রফতানির বিরাট বাজার আমেরিকা। ফলে সেখানে এত বেশি শুল্ক চাপলে পণ্যের দাম বেড়ে গিয়ে বিক্রিবাটা মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা।
এ দিকে, সোমবার শুল্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমদাবাদে এক সভায় তিনি জানান, আমেরিকার চাপ সত্ত্বেও তাঁর সরকার তা সামলানোর উপায় খুঁজে বার করবে। নাম না করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খোঁচাও দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘বিশ্ব জুড়ে এখন আর্থিক স্বার্থপরতার নীতিই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।’’ তবে একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘যতই চাপ আসুক না কেন, আমরা তার মোকাবিলা করার শক্তি ক্রমশ বাড়িয়ে যাব।’’
আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হতেই দেশের কর্পোরেট সংস্থা এবং ব্যাঙ্কগুলিকে হাতে হাত মিলিয়ে লগ্নি করার পরামর্শ দিয়েছেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর। দাবি করেছেন, শুল্ককে ঘিরে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা এবং ভূ-রাজনৈতিক আশঙ্কা ভারতীয় অর্থনীতিকে যে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে, তা থেকে বার হওয়ার জন্যই এই পুঁজি জরুরি। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কও মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি দেশের আর্থিক বৃদ্ধির চাকায় গতি আনার লক্ষ্যে হাঁটছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)