চলতি বছরের জানুয়ারিতে নেমেছে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির সূচক। এর ফলে সস্তা হয়েছে খাদ্যদ্রব্যের দাম। বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি তথ্য প্রকাশ করে জানাল কেন্দ্র। সরকারের দাবি, জানুয়ারিতে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৪.৩১ শতাংশ। গত বছরের ডিসেম্বরের নিরিখে ৯১ বেসিস পয়েন্ট কমেছে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার। ২০২৪ সালের অগস্টের পর থেকে একে সর্বনিম্ন বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি বলে জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া একটি সমীক্ষায় জানুয়ারি মাসের মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.৬ শতাংশ হবে বলে দাবি করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। বাস্তবে মূল্যবৃদ্ধির হার আরও কিছুটা কম হওয়ায় স্বস্তি পেয়েছে আমজনতা। সমীক্ষক অবশ্য দাবি করেছিলেন, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) সহনশীলতা ব্যান্ডের (পড়ুন ২-৬ শতাংশ) কাছাকাছি থাকবে মুদ্রাস্ফীতির হার। এই সূচককে আরও নীচে নামানোর জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
উল্লেখ্য ভোক্তা খাদ্য মূল্য সূচকের (কনজ়্যুমার ফুড প্রাইস ইনডেক্স বা সিএফপিআই) উপর ভিত্তি করে খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার হিসাব করে সরকার। এ বছরের জানুয়ারিতে সিএফপিআইয়ের সূচক ছিল ৬.০২ শতাংশ। গত বছরের অগস্ট থেকে যা সর্বনিম্ন। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৮.৩৯ শতাংশ।
এ বছরের জানুয়ারিতে গ্রামীণ মুদ্রাস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৬৪ শতাংশ। অন্য দিকে শহরাঞ্চলে মুদ্রাস্ফীতির হার ৩.৮৭ শতাংশে নেমে এসেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে গ্রাম ও শহরাঞ্চলের মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল যথাক্রমে ৫.৭৬ এবং ৪.৫৮ শতাংশ।
গত ডিসেম্বরে ভারতের ভোক্তা মূল্য সূচকের (কনজ়্যুমার প্রাইস ইনডেক্স) মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৫.২২ শতাংশ। নভেম্বরে এটি ৫.৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল। মূলত সব্জি, ডাল, চিনি এবং দানাশস্যের দর সস্তা হওয়ায় এক মাসের ব্যবধানে সামান্য নেমেছিল ওই সূচক।
আরও পড়ুন:
তবে নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে শ্লথ হয় দেশের শিল্পবৃদ্ধির সূচক। বছর থেকে বছরের হিসাবে নভেম্বরে এটি ছিল ৫.২ শতাংশে। ডিসেম্বরে সূচক নেমে আসে ৩.২ শতাংশে। শিল্প বৃদ্ধিতে শ্লথ গতি দেখা যাওয়ায় বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।