— ফাইল ছবি
এটিএমের নিরাপত্তা নিয়ে নানা সময়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকেরা। কিন্তু এ ব্যাপারে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আদৌ কতটা উদ্বিগ্ন, সেই প্রশ্ন জোরালো হল স্টেট ব্যাঙ্কের একটি সিদ্ধান্তে। সম্প্রতি এটিএমের প্রায় ১০০০ অস্থায়ী নিরাপত্তাকর্মীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি ব্যাঙ্কটি। এর বিরুদ্ধে সোমবার ঠিকা নিরাপত্তাকর্মীদের চারটি ইউনিয়ন ব্যাঙ্কটির কলকাতার সদর দফতর এবং শিলিগুড়ির আঞ্চলিক দফতরের সামনে অবরোধ বিক্ষোভ দেখায়। যার জেরে দুপুর পর্যন্ত কর্মীরা দফতরে ঢুকতে পারেননি। পরে ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। আশ্বাস দেন ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা অবশ্য জানান, ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হলেও বাতিল করা হয়নি।
স্টেট ব্যাঙ্কের এটিএম পাহারা দেওয়ার জন্য তিন শিফটে প্রায় ৪০০০ ঠিকা নিরাপত্তাকর্মী রয়েছেন। পাঁচটি ঠিকা সংস্থার মাধ্যমে নিযুক্ত হন তাঁরা। ব্যাঙ্কটি সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, একটি শিফট তুলে দেওয়া হবে। দিনের আট ঘণ্টা নিরাপত্তারক্ষী থাকবেন না। ফলে কাজ হারাবেন প্রায় ১০০০ মানুষ।
করোনার সময়ে নিয়োগ বাড়াতে সংস্থাগুলির জন্য উৎসাহ প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্র। প্রশ্ন উঠছে, স্টেট ব্যাঙ্কের পদক্ষেপ কি তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ?
এআইইউটিইউসি অনুমোদিত কনট্রাকচুয়াল ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ় ইউনিটি ফোরামের সভাপতি জগন্নাথ রায়মণ্ডল বলেন, ‘‘অতীতে স্টেট ব্যাঙ্ক বলেছিল, সবকটি শিফট থেকেই রক্ষী তোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।’’ বৈঠকের পরে আইএনটিটিইউসি সভাপতি দোলা সেন বলেন, ‘‘স্টেট ব্যাঙ্ক ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখছে।’’ আর পিডিএস অনুমোদিত অল বেঙ্গল কনট্রাক্ট সিকিউরিটি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি অনুরাধা দেবের কথায়, ‘‘ছাঁটাই না-হলেও নিশ্চিন্ত হতে পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy