আবাসন শিল্পে সাধারণ মানুষের লগ্নিকে সুরক্ষিত রাখতে সেই ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব দিল সেবি। এ ব্যাপারে সম্প্রতি একটি আলোচনাপত্র প্রকাশ করেছে বাজার নিয়ন্ত্রকটি। ২৭ মে পর্যন্ত মতামত দিতে পারবে বিভিন্ন পক্ষ।
সংশ্লিষ্ট মহলের খবর, গত দু’তিন বছরে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সাধারণ লগ্নিকারীদের আবাসন প্রকল্পের আংশিক অংশীদারি বিক্রি লগ্নি ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এর বাজার ক্রমশ বাড়ছে। এর জন্য সাধারণত বিশেষ সংস্থা (স্পেশাল পারপাস ভেহিকল বা এসপিভি) তৈরি করে তার মাধ্যমে লগ্নিকারীদের থেকে পুঁজি সংগ্রহ করা হয়। প্রকল্পের খরচের নিরিখে অংশীদারি ভাগ করা হয় তাঁদের মধ্যে। প্রকল্প তৈরির আগে এজেন্টরা ব্যবস্থাটি পরিচালনা করে। তৈরি বা বিক্রির পরে তা পরিচালনা করবে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা।
এই ব্যবস্থায় সাধারণত এক এক জন লগ্নিকারীর থেকে ১০-২৫ লক্ষ টাকা তোলা হয়। এই ব্যবস্থাকে রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট (আরইআইটি) বিধির আওতায় আনার প্রস্তাব করেছে সেবি। সে ক্ষেত্রে এগুলিকে দেখা হবে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি আরইআইটি হিসেবে। সেবির যুক্তি, এতে লগ্নিকারীদের পুঁজির নিরাপত্তা বাড়বে। তা আবাসন ক্ষেত্রের উন্নতিতেও কাজে লাগবে।
সেবির বক্তব্য, এই লগ্নি ব্যবস্থায় সম্পদের মূল্যায়ন ঠিক মতো না হওয়া, প্রকল্পের খুঁটিনাটি তথ্য ঠিক ভাবে সরবরাহ না করার ঝুঁকি রয়েছে। একে নিয়ন্ত্রণ বিধির অধীনে আনা না হলে সাধারণ লগ্নিকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)