—প্রতীকী ছবি।
লগ্নিকারীদের ঝুলি ভরিয়ে ফের লাফ শেয়ার সূচকের। বৃহস্পতিবার সেনসেক্স উঠেছিল প্রায় ৯৩০ পয়েন্ট। শুক্রবার উঠল আরও ৯৬৯.৫৫। ফলে এই প্রথম ৭১ হাজারে ঢুকে পড়ল সূচক। নজির গড়ে পা রাখল ৭১,৪৮৩.৭৫ অঙ্কের নতুন শিখরে। এই নিয়ে টানা তিন দিনে সেনসেক্সের মোট উত্থান ১৬৫৮.১৫। লগ্নিকারীদের শেয়ার সম্পদ বেড়েছে ৮.১১ লক্ষ কোটি টাকা। এ দিন নিফ্টিও ২১,৪৫৬.৬৫-এ উঠে গড়েছে রেকর্ড। ডলারের সাপেক্ষে অনেকখানি বেড়েছে টাকার দাম। এ দিন এক ডলার ২৭ পয়সা পড়ে নেমেছে ৮৩.০৩ টাকায়।
এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা, এমন চড়া বাজারে শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে সাবধানে পা ফেলতে হবে। কারণ বহু শেয়ারের দাম বিপুল চড়েছে। ফলে আচমকা সংশোধনের মুখে পড়তে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভাল বা সম্ভাবনাময় সংস্থার শেয়ার হাতে থাকলে চিন্তা কম। তবে পতনের ঝুঁকি সামলানোর ক্ষমতা থাকতে হবে।
আইসিআইসিআই প্রুডেন্সিয়াল মিউচুয়াল ফান্ডের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার এস নরেনের মন্তব্য, “চড়া বাজারে লগ্নির ক্ষেত্রে সতর্ক তো থাকতে হবেই। সেই সঙ্গে পুঁজি শুধু শেয়ারে না ঢেলে ফান্ড, ঋণপত্র, সোনা-সহ বিভিন্ন লগ্নি মাধ্যমে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দিলেও ভাল হয়। যাতে ঝুঁকির ভারসাম্য থাকে।’’
বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দী বলেন, আমেরিকায় আগামী বছরে সুদ কমার ইঙ্গিত বাজারে জ্বালানি জুগিয়েছে বটে। কারণ এতে আরও বিদেশি লগ্নি ঢুকবে। তবে দেশে অর্থনীতির ভিত মজবুত হওয়া এবং তেলের আন্তর্জাতিক দাম কমে আসাতেও উৎসাহিত লগ্নিকারীরা। তবে তাঁরও বার্তা, ‘‘বাজারে মোট শেয়ার মূলধনের নিরিখে বড় সংস্থার তুলনায় ছোট-মাঝারিগুলিতে লগ্নি হয়েছে বেশি। ফলে বেড়েছে সেগুলির শেয়ার দরও। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ঝুঁকি হল, ওই সব সংস্থার আর্থিক ফল ভাল না হলে তাদের শেয়ার দর পড়তে পারে। সব ছোট-মাঝারি সংস্থার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় হয় না। সেটাও লগ্নিকারীদের ঝুঁকির মুখে ফেলে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy